অযৌক্তিক এবং বৈষম্যমূলক কোটা বাতিল করে সংবিধানে উল্লিখিত অনগ্রসর গোষ্ঠীর জন্য ন্যূনতম কোটা নিশ্চিত করার দাবিতে শিক্ষার্থীরা তাদের আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।
বুধবার দুপুর ১টা ২০ মিনিটে রাজধানীর সায়েন্সল্যাব মোড়ে ঢাকা কলেজ ও ইডেন মহিলা কলেজ শিক্ষার্থীদের অবরোধ কর্মসূচিতে এই ঘোষণা দেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সারজিস আলম।
সারজিস আলম বলেন, আপিল বিভাগ হাইকোর্টের রায়ের ওপর এক মাসের স্থগিতাদেশ দিয়েছেন। আমরা চাই সরকারের নির্বাহী বিভাগ একটি কমিশন গঠন করে কোটার যৌক্তিক সংস্করণ করুক। আমরা বলেছি সর্বোচ্চ পাঁচ শতাংশ পর্যন্ত কোটা থাকতে পারে। দাবি মেনে নেওয়া না পর্যন্ত সারা দেশে আন্দোলন চলবে।
এর আগে, প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির সরকারি চাকরিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিল করে জারি করা পরিপত্র অবৈধ ঘোষণা করে হাইকোর্টের দেওয়া রায়ের ওপর আপিল বিভাগ স্থিতাবস্থা জারি করেন।
বুধবার সকালে প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বাধীন পাঁচ সদস্যের আপিল বিভাগ এই আদেশ দেন।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে অ্যাটর্নি জেনারেল এএম আমিন উদ্দিন, দুই শিক্ষার্থীর পক্ষে সিনিয়র আইনজীবী শাহ মঞ্জুরুল হক এবং রিট আবেদনকারীদের পক্ষে সিনিয়র আইনজীবী মনসুরুল হক চৌধুরী শুনানি করেন।
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষকে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন থেকে ক্লাসে ফিরিয়ে নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান।