গোলাম দস্তগীর গাজী, সাবেক বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী এবং গাজী গ্রুপের চেয়ারম্যান, সম্প্রতি রাজধানীর শান্তিনগর এলাকা থেকে গ্রেপ্তার হয়েছেন। পল্টন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোল্লা মো. খালিদ হোসেন নিশ্চিত করেছেন যে, গতকাল শনিবার রাতে ডিবির একটি দল তাকে তার আত্মীয়র বাসা থেকে গ্রেপ্তার করে। এরপর তাকে ডিবি কার্যালয়ে নেওয়া হয়, তবে তাকে কোন মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে, তা এখনো প্রকাশ করা হয়নি।
গোলাম দস্তগীর গাজীর গ্রেপ্তারের ঘটনাটি একটি বৃহত্তর রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে ঘটেছে। গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানের ফলে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারের পতন ঘটে। সেই অভ্যুত্থানের পর শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে দেশ ত্যাগ করেন, এবং তার সাথে আওয়ামী লীগ এবং এর সহযোগী সংগঠনের অনেক নেতা আত্মগোপনে চলে যান। এই আত্মগোপনকারীদের মধ্যে সাবেক মন্ত্রীরা ছাড়াও বিভিন্ন সরকারি কর্মকর্তা এবং রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্বরত ব্যক্তিরাও আছেন।
বর্তমান পরিস্থিতিতে অনেক নেতাকর্মী এবং সাবেক সরকারি কর্মকর্তারা গ্রেপ্তার হচ্ছেন। এই গ্রেপ্তারগুলো রাজনৈতিক পরিস্থিতি এবং দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির সাথে সম্পর্কিত বলে মনে করা হচ্ছে। গণ-অভ্যুত্থানের পর দেশের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে বড় ধরনের পরিবর্তন দেখা যাচ্ছে। ক্ষমতার পালাবদলের সাথে সাথে প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এবং রাজনৈতিক দলগুলোর ভূমিকা পরিবর্তন হচ্ছে।
গোলাম দস্তগীর গাজীর গ্রেপ্তারকে এই পরিবর্তনের একটি অংশ হিসেবে দেখা যেতে পারে। যদিও তার বিরুদ্ধে নির্দিষ্ট কোনো অভিযোগ এখনো প্রকাশ করা হয়নি, তবে তার গ্রেপ্তার দেশের রাজনৈতিক ও সামাজিক পরিস্থিতির সাথে গভীরভাবে সম্পর্কিত বলে মনে করা হচ্ছে। বর্তমান পরিস্থিতিতে আত্মগোপনকারী অন্যান্য নেতাদেরও একইভাবে গ্রেপ্তারের আশঙ্কা রয়েছে, যা দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন একটি অধ্যায়ের সূচনা করতে পারে।