ছাত্র-জনতার ব্যাপক আন্দোলনের চাপের মুখে পড়ে শেখ হাসিনা সম্প্রতি পদত্যাগ করে ভারতে আশ্রয় নিয়েছেন। এর ফলে দেশে একটি সংকটময় পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে এবং বিভিন্ন থানায় হামলার ঘটনা ঘটেছে, যার ফলে অস্ত্র লুটপাটের ঘটনা ঘটে। নতুন অন্তবর্তীকালীন সরকার এবার এই লুট হওয়া অস্ত্র উদ্ধারে সক্রিয় হয়েছে।
গত কয়েকদিন ধরে প্রশাসন মাইকিং করে লুট হওয়া অস্ত্র জমা দিতে আহ্বান জানাচ্ছে এবং এ ক্ষেত্রে নাম পরিচয় গোপন রাখার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। এবার স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এম সাখাওয়াত হোসেন সময়সীমা নির্ধারণ করেছেন।
সোমবার (১২ আগস্ট) তিনি ঘোষণা দেন যে, আগামী ৭ দিনের মধ্যে, অর্থাৎ আগামী সোমবার (১৯ আগস্ট) এর মধ্যে লুট হওয়া অস্ত্র থানায় জমা দিতে হবে। এর পরেও যদি কেউ অস্ত্র জমা না দেয়, তবে কঠোর অভিযান চালানো হবে এবং অস্ত্র পাওয়া গেলে কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এর আগে, ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) রোববার (১১ আগস্ট) রাতে জনগণকে লাইসেন্সবিহীন অস্ত্র অথবা গুলি নিকটস্থ থানায় জমা দেওয়ার আহ্বান জানায়। লাইসেন্সবিহীন অস্ত্র বা গুলি রাখাকে অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হবে। জানা গেছে, সেনাবাহিনী শিগগিরই অস্ত্র উদ্ধারে অভিযানে নামবে এবং তখন যদি কারও কাছে অবৈধ অস্ত্র পাওয়া যায়, তবে আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হবে।