রাঙামাটির সাজেক সড়কের বাঘাইহাট বাজার, মাচালং, এবং কবাখালি অংশ ভারী বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলের কারণে ডুবে গেছে, যার ফলে যান চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে এবং সাজেকে ভ্রমণে আসা পর্যটকরা আটকে পড়েছেন।
মঙ্গলবার থেকে মাইনি ও কাচালং নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় সড়কগুলো পানির নিচে চলে গেছে। বুধবারও বৃষ্টি না থামায় পানির পরিমাণ আরও বেড়েছে। সাজেক সড়কের কবাখালি, বাঘাইহাট বাজার এবং মাচালং বাজারসহ বিভিন্ন অংশ পাঁচ থেকে ছয় ফুট পানির নিচে তলিয়ে গেছে, যার ফলে সড়কে সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে।
সাজেক রিসোর্ট-কটেজ মালিক সমিতির সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার সকালে ১৭টি জিপ, অটোরিকশা ও মোটরসাইকেলে দুই শতাধিক পর্যটক রাঙামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলার সাজেকের রুইলুই পর্যটনকেন্দ্রে আসেন। তারা সবাই সড়ক পানিতে ডুবে যাওয়ায় আটকে পড়েছেন। নতুন করে কোনও পর্যটক সাজেকে যেতে পারেননি।
দীঘিনালার কবাখালিতে আটকে পড়া এক পর্যটক, আমিনুল ইসলাম, বলেন, ‘আমরা ঢাকার কেরানীগঞ্জ থেকে এসেছি। বন্যার খবর জানতাম না। এখন আটকে পড়েছি। সড়কের দুই-তিন জায়গায় পানি উঠেছে। এতদূর মোটরসাইকেলে যাত্রা করে এসে সাজেক যেতে পারছি না। আজ দীঘিনালায় অবস্থান করবো। পানি কমলে কাল সাজেক যাবো।’
সাজেক রিসোর্ট মালিক সমিতির সভাপতির মতে, মঙ্গলবার সকালে কিছু গাড়ি সাজেকে প্রবেশ করেছে, কিন্তু সোমবার থেকে কোনও গাড়ি বের হতে পারেনি। সব মিলিয়ে প্রায় দুই শতাধিক পর্যটক বর্তমানে সাজেকে আটকে রয়েছেন।
বাঘাইছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শিরিন আক্তার জানিয়েছেন, ‘সাজেক সড়কের বাঘাইহাট বাজার, মাচালং, এবং কবাখালি অংশে পানি উঠে যাওয়ায় যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। আটকে পড়া দুই শতাধিক পর্যটককে সড়ক থেকে পানি কমে গেলে নিরাপদে ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা করা হবে।’