সাকিব আল হাসান টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট থেকে অবসরের ঘোষণা দিয়েছেন। বৃহস্পতিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) কানপুর টেস্টের আগে সংবাদ সম্মেলনে সাকিব এই সিদ্ধান্তের কথা জানান। তিনি বলেন, দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে আগামী অক্টোবরে ঘরের মাঠে সিরিজ দিয়েই টেস্ট ক্রিকেট থেকে অবসর নেবেন, তবে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে নিজের শেষ ম্যাচ ইতোমধ্যে খেলে ফেলেছেন। ওয়ানডে ক্রিকেটে তিনি আগামী বছরের ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠেয় চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি পর্যন্ত খেলার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন।
সাকিবের সাম্প্রতিক চোট এবং পারফরম্যান্স নিয়ে প্রশ্ন উঠছিল, যা তার অবসরের পেছনে অন্যতম কারণ হিসেবে ধরা হচ্ছে। পাশাপাশি রাজনৈতিক পরিস্থিতি ও শেয়ারবাজার কারসাজির অভিযোগে তার ওপর চাপও বৃদ্ধি পেয়েছে। আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর সংসদ সদস্য হওয়া সাকিবকে একটি হত্যা মামলায় আসামী করা হয়েছে এবং শেয়ারবাজার কারসাজির জন্য ৫০ লাখ টাকা জরিমানা গুণতে হয়েছে।
সাকিবের টি-টোয়েন্টি অভিষেক হয়েছিল ২০০৬ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে। বাংলাদেশের প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচেই ছিলেন তিনি। এরপর টানা নয়টি বিশ্বকাপে অংশ নেন। সাকিব টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে ১২৯ ম্যাচে ২,৫৫১ রান এবং ১৪৯ উইকেট নিয়ে বাংলাদেশের পক্ষে সর্বোচ্চ রান ও উইকেট শিকারি।
সাদা পোশাকে সাকিব ২০০৭ সালে ভারতের বিপক্ষে চট্টগ্রাম টেস্টে অভিষেক করেন। ১৭ বছরের ক্যারিয়ারে ৭০ টেস্ট খেলে ৪,৬০০ রান সংগ্রহ করেছেন, যেখানে তার গড় ৩৮.৩৩। বল হাতে টেস্টে ২৪২ উইকেট শিকার করে টেস্ট ক্রিকেটেও সর্বোচ্চ উইকেটশিকারি হিসেবে নিজের নাম লিখেছেন।