জাতীয় গণতদন্ত কমিশন গঠনের মাধ্যমে বাংলাদেশের সম্প্রতি ঘটে যাওয়া ছাত্র আন্দোলনের সহিংসতার তদন্ত শুরু হয়েছে। এই আন্দোলনে ২০৯ জনের মৃত্যুর ঘটনা এবং শিক্ষার্থীদের ওপর গুলি, নির্যাতন, এবং গণগ্রেপ্তারের প্রতিবাদে বিভিন্ন আইনজীবী, শিক্ষক, সংস্কৃতি কর্মী ও অভিভাবকদের উদ্যোগে এই কমিশন প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার সুপ্রিম কোর্টে গণহত্যার বিচার এবং গায়েবী মামলায় গ্রেপ্তার ও নির্যাতন বন্ধের দাবিতে অনুষ্ঠিত এক আইনজীবী সমাবেশে কমিশন গঠনের ঘোষণা দেয়া হয়। কমিশনের নেতৃত্বে রয়েছেন সাবেক বিচারপতি আব্দুল মতিন এবং মানবাধিকার কর্মী সুলতানা কামাল। কমিশনের অন্য সদস্যদের মধ্যে রয়েছেন সিনিয়র আইনজীবী জেড আই খান পান্না, সাংবাদিক আবু সাইয়িদ খান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক গীতিআরা নাসরিন, সাংবাদিক আশরাফ কায়সার, আইনজীবী অনীক আর হক, অধ্যাপক তানজিমুদ্দিন খান, এবং লেখক মাহা মির্জা।
আইনজীবী সমাবেশে জেড আই খান পান্না বলেন, ছাত্রদের ৮ দফা দাবি অত্যন্ত যৌক্তিক ছিল। তিনি অভিযোগ করেন যে, এমন পরিস্থিতিতে কেন ব্লক রেড করে শিক্ষার্থীদের তুলে নেয়া হবে এবং তাদের বিরুদ্ধে আইনগত কোনো ভিত্তি নেই। তিনি আন্দোলনের শহীদদের আত্মার শান্তি কামনা করেন এবং আইনজীবী হিসেবে কমিশনের মাধ্যমে এই ঘটনাগুলোর বিচার করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হন।
কমিশনের বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে যে, গত ১৬ জুলাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় সহিংসতার সূত্রপাত ঘটে। এর প্রতিবাদে সারা দেশে সাধারণ মানুষ ও শিক্ষার্থীরা রাস্তায় নেমে আসে, এবং রংপুরে আবু সাইদকে গুলি করা হয়। পুলিশ মামলায় ছাত্র ও সাধারণ মানুষকে দায়ী করে, যা তদন্ত প্রক্রিয়া নিয়ে জনমনে সন্দেহ সৃষ্টি করেছে। কমিশন এসব ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচারের জন্য তথ্য আহ্বান করবে এবং মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনার দায় যারা পাবে, তাদের বিচারের আওতায় আনা হবে।