বাংলাদেশে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বানে সারা দেশে ‘প্রার্থনা ও ছাত্র-জনতার গণমিছিল’ কর্মসূচি পালিত হচ্ছে। এই কর্মসূচির অংশ হিসেবে রাজধানীর জাতীয় মসজিদ বাইতুল মুকাররম, আফতাবনগর, বাড্ডা, উত্তরা, মিরপুরসহ বিভিন্ন এলাকায় আন্দোলনকারীরা পুলিশের বাধা উপেক্ষা করে মিছিল করেছেন।
শুক্রবার (২ আগস্ট) জুমার নামাজ শেষে বাইতুল মোকাররম থেকে শুরু হওয়া মিছিলটি হাইকোর্ট এলাকা হয়ে শাহবাগের দিকে এগোচ্ছিল। এই মিছিলটি সাধারণ জনগণের উদ্যোগে আয়োজিত হয় এবং এতে কোনো ব্যানার ব্যবহার করা হয়নি। মিছিলকারীরা ছাত্র হত্যাসহ সকল নির্যাতনের প্রতিবাদে বিভিন্ন স্লোগান দেন এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগ দাবি করেন।
দুপুর আড়াইটার দিকে মিছিলটি শাহবাগ এলাকা থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় যেতে চাইলে পুলিশ বাধা দেয়, ফলে মিছিলকারীরা শাহবাগ এলাকাতেই অবস্থান নেন।
এছাড়া রাজধানীর বাড্ডার আফতাবনগর ও উত্তরাসহ বিভিন্ন এলাকায় শিক্ষার্থীরা বৃষ্টিতে ভিজে বিক্ষোভ করেছেন। তাদের মিছিলের সামনে ও পেছনে পুলিশ উপস্থিত ছিল। সকাল সাড়ে ১১টার দিকে বাড্ডা এলাকায় বিচ্ছিন্নভাবে জড়ো হওয়া শিক্ষার্থীরা আফতাবনগরে ইস্ট ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে মিছিল শুরু করেন এবং রামপুরা ব্রিজ হয়ে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয় ঘুরে আবার ইস্ট ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে এসে সমাবেশ করেন।
এসময় শিক্ষার্থীদের বেশির ভাগের গলায় পরিচয়পত্র ছিল। তারা কোটা আন্দোলনের কারণে সৃষ্ট সংঘাতে হতাহতের ঘটনায় বিচার ও গ্রেপ্তার শিক্ষার্থীদের মুক্তির দাবি করেন। পুলিশসহ আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা এলাকায় অবস্থান নেয়।
উত্তরা ৬ নম্বর সেক্টরে রাজউক উত্তরা মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থীরাও বৃষ্টিতে ভিজে মিছিল ও সমাবেশ করে। তাদের অনেকেই স্কুলের পোশাক পরে ছিল। মিরপুরসহ আরও কয়েকটি এলাকায় শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ করার চেষ্টা করলেও পুলিশসহ আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর কঠোর অবস্থানের কারণে তা সম্ভব হয়নি।
উল্লেখ্য, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন আজ ‘প্রার্থনা ও ছাত্র-জনতার গণমিছিল’ কর্মসূচি ঘোষণা করে, যেখানে সারা দেশের মসজিদে জুমার নামাজ শেষে দোয়া-কবর জিয়ারত এবং মন্দির, গির্জাসহ সব প্রার্থনালয়ে প্রার্থনা করার কথা বলা হয়। বাইতুল মোকাররম থেকেও একটি মিছিল বের করা হয়।