যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসের ২২ জন সদস্য বাংলাদেশের চলমান কোটা সংস্কার আন্দোলন এবং সেই নিয়ে সৃষ্ট পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনকে একটি চিঠি পাঠিয়েছেন।
এ চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে যে, বাংলাদেশের সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে বিক্ষোভকারী শিক্ষার্থীদের ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হয়েছে। এতে সরকারের অধীনে মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটছে। আইনপ্রণেতারা উল্লেখ করেন যে, সরকার গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া ক্ষুণœ করছে, যেমন জানুয়ারিতে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে ব্যাপক ত্রুটি দেখা দিয়েছে এবং শ্রমবিধির উন্নয়ন ঘটাতে ব্যর্থ হয়েছে। আরও উল্লেখযোগ্য হলো, গুলি ও কাঁদানে গ্যাসের শেল ছুড়ে সহিংস পন্থায় বিক্ষোভ দমন করা এবং ইন্টারনেট পরিষেবা প্রায় পুরোপুরি বন্ধ করে দেওয়া।
সিনেট সদস্যরা আশা প্রকাশ করেছেন যে, যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ সমুন্নত রাখতে নেতৃত্ব দেবেন। তারা যুক্তরাষ্ট্রকে সব ধরনের সহিংসতার নিন্দা জানাতে, নাগরিক অধিকার নিশ্চিত করতে এবং জড়িত সরকারি কর্মকর্তাদের জবাবদিহি নিশ্চিত করতে পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। এছাড়া, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সঙ্গে কাজ করে বাংলাদেশে একটি প্রতিনিধিত্বমূলক গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠায় সহায়তার জন্য যুক্তরাষ্ট্রকে উৎসাহিত করা হয়েছে, যাতে মানবাধিকার ও নাগরিক স্বাধীনতার প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শিত হয়।
একই সঙ্গে, জামায়াত-শিবিরকে নিষিদ্ধ করার বিষয়ে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন মুখপাত্র বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র সংবিধান ও আইন অনুযায়ী সব সিদ্ধান্ত গ্রহণের আহ্বান জানায়। তারা বিশ্বজুড়ে গণতান্ত্রিক নীতি, আইনের শাসন ও মানবাধিকারের প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শনের আহ্বান জানিয়ে থাকে। বাংলাদেশে সাম্প্রতিক সহিংসতার সুষ্ঠু ও স্বচ্ছ তদন্তের প্রয়োজনীয়তা তারা স্বীকার করেছেন এবং দোষীদের বিচারের আওতায় আনার গুরুত্বের ওপর জোর দিয়েছেন।