সরকারি চাকরির প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটা পদ্ধতি বাতিলের সিদ্ধান্ত অবৈধ ঘোষণা করে হাইকোর্টের রায়ের ওপর আপিল বিভাগ স্থিতাবস্থা জারি করেছেন। বুধবার (১০ জুলাই) বেলা ১১টায় আপিল বিভাগে শুনানি শেষে এই রায় প্রদান করা হয়। আদালত আগামী চার সপ্তাহ পর বিষয়টির পরবর্তী শুনানির দিন নির্ধারণ করেছেন।
মঙ্গলবার আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলাম শুনানির জন্য এই দিন ধার্য করেন। চেম্বার বিচারপতির আদালত শুধু এই মামলার শুনানির দিন ধার্যের জন্য বসেছিলেন। এছাড়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শিক্ষার্থীও হাইকোর্টের রায় স্থগিত চেয়ে আবেদন করেন এবং তাদের আবেদনের শুনানিও একই সঙ্গে অনুষ্ঠিত হয়।
এর আগে, ৪ জুলাই হাইকোর্টের রায় আপাতত বহাল রাখেন আপিল বিভাগ। সেইদিন আপিল বিভাগ রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের ওপর শুনানি না করে “নট টুডে” বলে আদেশ দেন এবং হাইকোর্টের রায় স্থগিত চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষকে আপাতত “লিভ টু আপিল” দায়ের করার নির্দেশ দেন। প্রধান বিচারপতি বলেন, “আন্দোলন করে কি হাইকোর্টের রায় পরিবর্তন করবেন? রাজপথে আন্দোলন করে হাইকোর্টের রায় পরিবর্তন করা যায় না।”
অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন এবং রিটের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মোতাহার হোসেন সাজু।
৫ জুন হাইকোর্ট সরকারি চাকরিতে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির মুক্তিযোদ্ধা কোটা পদ্ধতি বাতিলের সিদ্ধান্ত অবৈধ ঘোষণা করেন। এরপর ৯ জুন রাষ্ট্রপক্ষ রায় স্থগিত চেয়ে আবেদন করে এবং সেই আবেদন চেম্বার আদালত শুনানির জন্য আপিল বিভাগে পাঠান। অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন বলেন, “সরকারি চাকরিতে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির মুক্তিযোদ্ধা কোটা পদ্ধতি বাতিলের সিদ্ধান্ত অবৈধ ঘোষণা করে হাইকোর্টের রায় বহাল থাকবে, না কি বাতিল হবে, এ বিষয়ে আপিল বিভাগই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন।”