গণ-অভ্যুত্থানের পর শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে দেশ ছেড়ে ভারতে আশ্রয় নিয়েছেন। তিনি বর্তমানে দিল্লির উপকণ্ঠে একটি আধাসামরিক বাহিনীর অতিথি নিবাসে অবস্থান করছেন। তার সঙ্গে রয়েছেন ছোট বোন শেখ রেহানাও।
ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর দেশটির পার্লামেন্টে জানিয়েছেন, শেখ হাসিনা ভারত সরকারের কাছে ‘সাময়িকভাবে’ সেখানে অবস্থানের অনুমতি চেয়েছিলেন, যা মঞ্জুর করা হয়েছে।
দিল্লির সরকারের শীর্ষ পর্যায়ে একাধিক কর্মকর্তার মতে, শেখ হাসিনার কাছে থাকা ‘ডিপ্লোম্যাটিক/অফিশিয়াল’ পাসপোর্টটি এখনও বৈধ। এর মাধ্যমে তিনি ভিসা ছাড়াই ৪৫ দিন ভারতে অবস্থান করতে পারবেন। শেখ হাসিনা ইতোমধ্যে ভারতে ১৫ দিন অবস্থান করেছেন এবং আইন অনুযায়ী আরও ৩০ দিন সেখানে থাকতে পারবেন, যদি না তার পাসপোর্ট এর মধ্যে বাতিল করা হয়।
ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে স্বাক্ষরিত ‘সংশোধিত ট্র্যাভেল অ্যারেঞ্জমেন্ট’ চুক্তির আওতায় ডিপ্লোম্যাটিক ও সরকারি পাসপোর্টধারীরা উভয় দেশে ভিসা ছাড়াই ৪৫ দিন অবস্থান করতে পারেন। এই চুক্তি ২০১৮ সালে দুই দেশের মধ্যে স্বাক্ষরিত হয়েছিল এবং সম্প্রতি নবায়ন করা হয়েছে।
বর্তমানে শেখ হাসিনার পাসপোর্ট বাতিল করা হয়নি, তাই তিনি আইনত ভারতীয় মাটিতে অবস্থান করতে সক্ষম। তবে, যদি তার পাসপোর্ট বাতিল করা হয়, তাহলে ভারতীয় কর্তৃপক্ষের কাছে আরও পরিকল্পনা প্রস্তুত রয়েছে।