যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার সম্প্রতি বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা, শান্তিতে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে একটি আন্তরিক অভিনন্দন বার্তা পাঠিয়েছেন। ১৪ আগস্ট পাঠানো ওই চিঠিতে কিয়ার স্টারমার বাংলাদেশের এই সংকটময় সময়ে ড. ইউনূসের নেতৃত্বকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে অভিহিত করেছেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশের ইতিহাসের এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ সময়ে ড. ইউনূসের দূরদর্শী নেতৃত্ব দেশের সামনের চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলায় অপরিহার্য ভূমিকা পালন করবে।
দুদেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের বিষয়ে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী জোর দিয়ে বলেন, যুক্তরাজ্য ও বাংলাদেশের মধ্যে সম্পর্কের ভিত্তি জনগণের সঙ্গে জনগণের গভীর বন্ধন এবং কমনওয়েলথের অভিন্ন মূল্যবোধের ওপর প্রতিষ্ঠিত। তিনি আরও উল্লেখ করেন, যুক্তরাজ্য বাংলাদেশের সঙ্গে এই সুদৃঢ় সম্পর্ককে অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে দেখে এবং ভবিষ্যতে এই সম্পর্ক আরও শক্তিশালী হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
চিঠিতে কিয়ার স্টারমার সাম্প্রতিক বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হতাহতের ঘটনায় গভীর শোক প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, “একজন বন্ধুর দৃষ্টিকোণ থেকে, সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে বাংলাদেশে ঘটে যাওয়া সহিংসতা এবং প্রাণহানির ঘটনায় আমরা অত্যন্ত মর্মাহত।” তিনি আরও বলেন, “আমরা সেই সাহসী ছাত্র-জনতার সাহসিকতাকে স্বীকৃতি দিচ্ছি, যারা শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদের মাধ্যমে একটি নতুন, সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার আহ্বান জানিয়েছিল।”
চিঠির শেষ অংশে, কিয়ার স্টারমার ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে একসঙ্গে কাজ করার ইচ্ছা প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, “বাংলাদেশে শান্তি, সমৃদ্ধি এবং আইনের শাসন পুনরুদ্ধারে যুক্তরাজ্য আপনাকে সহায়তা করতে আগ্রহী।” এছাড়া তিনি বাংলাদেশের শান্তি ও স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে ব্রিটিশ সরকারের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন। কিয়ার স্টারমার আরও বলেন, যুক্তরাজ্য ও বাংলাদেশের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক এবং সহযোগিতার ভিত্তিতে একসঙ্গে কাজ করলে উভয় দেশই উপকৃত হবে।
এই চিঠিটি আন্তর্জাতিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বের প্রতি আন্তর্জাতিক সমাজের আস্থা এবং তার প্রতি ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর সম্মান প্রদর্শনের একটি নিদর্শন হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।