বিপিএলে রাজস্বের ভাগ পাওয়ার দাবি ফ্র্যাঞ্চাইজিদের পুরোনো। এ নিয়ে একাধিকবার বিরোধ দেখা দিয়েছে। ২০২০ সালে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স, ঢাকা ডায়নামাইটস, খুলনা টাইগার্স এবং রংপুর রাইডার্স বিসিবিকে চিঠি দিয়ে রাজস্বের ভাগ চায়। সেই সময় ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলো সুযোগ-সুবিধা না পেলে বিপিএল বয়কটেরও হুমকি দেয়। উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো, এই চার ফ্র্যাঞ্চাইজির তিনটি দেশের বড় শিল্প গ্রুপের মালিকানায় (ঢাকার বেক্সিমকো গ্রুপ, রংপুরের বসুন্ধরা গ্রুপ ও খুলনার জেমকন গ্রুপ) রয়েছে।
বিষয়টি গুরুতর হওয়ায় বিসিবি তড়িঘড়ি ফ্র্যাঞ্চাইজিদের সঙ্গে আলোচনায় বসে। কিন্তু তখনকার সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন রাজস্ব ভাগাভাগির বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্তে আসেননি। ফলে বেক্সিমকো ও জেমকন বিপিএল থেকে নিজেদের সরিয়ে নেয়। কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স ও রংপুর রাইডার্স কিছু সময় বিরতির পর বিপিএলে ফিরে এলেও রাজস্ব ভাগের দাবি জানাতে থাকে নিয়মিত। সম্প্রতি টুর্নামেন্টের বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ফরচুন বরিশালও রাজস্ব ভাগাভাগির দাবি জানিয়ে বিসিবিকে চিঠি দিয়েছে।
বিসিবির বর্তমান সভাপতি ফারুক আহমেদ এ বিষয়ে ইতিবাচক অবস্থান নিয়েছেন এবং নীতিগতভাবে রাজস্ব ভাগাভাগির ব্যাপারে সম্মত হয়েছেন। ২০১২ সালে বিপিএলের প্রথম আসরেই রাজস্ব ভাগাভাগির পদ্ধতি চালু ছিল এবং সেই সময় ফ্র্যাঞ্চাইজি ফি বেশি হলেও মালিকরা খুশি ছিলেন। কিন্তু ইসমাইল হায়দার মল্লিক বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের সদস্য সচিব হওয়ার পর থেকেই ফ্র্যাঞ্চাইজিদের সঙ্গে দূরত্ব তৈরি হয়। মল্লিক এবং চেয়ারম্যান শেখ সোহেল মিলে নিয়মের ব্যতিক্রমী কিছু সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন, যা ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোর সঙ্গে বিরোধ সৃষ্টি করে।
ফ্র্যাঞ্চাইজিদের দাবি হলো, বিপিএল শুধুমাত্র ক্রিকেট নয়, এটি ব্যবসারও একটি অংশ। তারা বিপিএলে বিনিয়োগ করে এবং প্রত্যাশা করে যে তারা তাদের বিনিয়োগের সঠিক মূল্যায়ন পাবে। রাজস্ব ভাগাভাগি পুনরায় চালু হলে ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোর অংশগ্রহণ ও বিনিয়োগের আগ্রহ আরও বাড়বে।