শিরোনাম:
শিরোনাম:
শেখ হাসিনার অডিও ক্লিপের নির্দেশনা বাস্তবায়নকারী গ্রেফতার নির্বাচন যত তাড়াতাড়ি হবে, দেশের জন্য তত মঙ্গল : মির্জা ফখরুল ডেঙ্গুতে আরও ৪ জনের মৃত্যু, শনাক্ত ১১২১ পলাতক পুলিশ সদস্যরা এখন থেকে ‘সন্ত্রাসী’ বিবেচিত হবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ১৮তম শিক্ষক নিবন্ধনের মৌখিক পরীক্ষা চলতি মাসেই এনআইডির তথ্য ফাঁস-বিক্রি, ডাটা সেন্টারের সাবেক পরিচালক কারাগারে পিএসসির চেয়ারম্যান সোহরাব হোসাইনসহ ১২ সদস্যের পদত্যাগ চৌরাস্তা বাজার জামে মসজিদ ও নূরুল কুরআন মহিলা মাদরাসা উদ্যোগে ১৭তম বার্ষিক ইসলামী মহাসম্মেলন তিতুমীর কলেজস্থ ময়মনসিংহ জেলা ছাত্রকল্যাণের নির্বাচনে জয়ী জহিরুল-রাকিব ফের শ্রমিক বিক্ষোভের মুখে আশুলিয়ায় ২৫ কারখানায় ছুটি ঘোষণা

বিচারের জন্য হাসিনাকে হস্তান্তর করতে পারে দিল্লি: হিন্দুস্থান টাইমস

সবুজ আহমেদ
সময় : বৃহস্পতিবার, সেপ্টেম্বর ১৯, ২০২৪

ভারতীয় ইংরেজি দৈনিক **হিন্দুস্তান টাইমস**-এর খবরে জানা গেছে, ক্ষমতাচ্যূত ও পলাতক সাবেক প্রধানমন্ত্রী **শেখ হাসিনাকে** মানবতাবিরোধী অপরাধের জন্য বাংলাদেশে ফেরত পাঠানোর বিষয়ে ভারতের ওপর আইনি চাপ বাড়ছে। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের (আইসিটি) প্রধান প্রসিকিউটরের ঘোষণা অনুযায়ী, শেখ হাসিনাকে ফিরিয়ে আনার প্রক্রিয়া ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে। এই ট্রাইব্যুনালটি ২০১০ সালে হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারই প্রতিষ্ঠা করেছিল।

গত বছরের জুলাই-আগস্ট মাসে শিক্ষার্থীদের কোটাবিরোধী আন্দোলনকে দমন করতে গেলে সেটি ছাত্র-জনতার গণ-আন্দোলনে রূপ নেয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে শেখ হাসিনা সরকার ব্যাপক বলপ্রয়োগ ও দমন-পীড়ন চালায়, যার ফলে বহু হতাহতের ঘটনা ঘটে। এরপর জনতার চাপে শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে ভারতে পালিয়ে যেতে বাধ্য হন। তার বিরুদ্ধে গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ এনে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে মামলা দায়ের করা হয়। এছাড়াও হত্যা, গুম, নির্যাতনসহ আরও দেড় শতাধিক মামলা তার বিরুদ্ধে চলমান রয়েছে।

ভারতের আইনি প্রক্রিয়া নিয়ে **ওপি জিন্দাল গ্লোবাল ইউনিভার্সিটির** অধ্যাপক প্রভাষ রঞ্জন এক নিবন্ধে বিশ্লেষণ করেছেন। তিনি উল্লেখ করেছেন, শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশে প্রত্যর্পণের জন্য ভারতের **প্রত্যর্পণ আইন, ১৯৬২** এবং **ভারত-বাংলাদেশ প্রত্যর্পণ চুক্তি, ২০১৩** গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। চুক্তির ১ নম্বর অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে যে, প্রত্যর্পণযোগ্য অপরাধের জন্য কোনো ব্যক্তি অভিযুক্ত হলে তাকে প্রত্যর্পণ করা সম্ভব। হাসিনার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগই তাকে ফেরানোর জন্য যথেষ্ট হবে, এমনকি দোষী প্রমাণিত হওয়ার প্রয়োজন নেই।

চুক্তির অনুচ্ছেদ ১০(৩) অনুযায়ী, গ্রেফতারি পরোয়ানা থাকলেই প্রত্যর্পণ করা যেতে পারে। প্রমাণ শেয়ার করার বাধ্যবাধকতা থাকলেও, ২০১৬ সালের সংশোধনীতে এটি বাতিল করা হয়েছে। ফলে, বাংলাদেশ যদি আনুষ্ঠানিকভাবে অনুরোধ জানায়, তবে ভারতকে হাসিনাকে হস্তান্তর করতে হবে। তবে কিছু আইনি বাধা থাকতে পারে, যেমন চুক্তির ৬ নম্বর অনুচ্ছেদে রাজনৈতিক অপরাধীদের প্রত্যর্পণ না করার বিধান রয়েছে। কিন্তু আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী, গণহত্যা বা মানবতাবিরোধী অপরাধ রাজনৈতিক অপরাধ হিসেবে বিবেচিত হয় না।

অন্যদিকে, ৭ নম্বর অনুচ্ছেদে উল্লেখ করা হয়েছে, যদি সেই ব্যক্তি অন্য কোনো অপরাধে বিচারাধীন থাকে, তবে তার প্রত্যর্পণ বাতিল করা যেতে পারে। তবে শেখ হাসিনার ক্ষেত্রে এটি প্রযোজ্য নয়, কারণ তিনি ভারতে কোনো অপরাধের জন্য অভিযুক্ত নন।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরও খবর

Tags

HSC Icc T20 আওয়ামী লীগ আন্দোলন করে রায় পরিবর্তন হয় না আপিল বিভাগে স্থগিত ইমরান খান এইচএসসি এইচএসসি ও সমমান ওবায়দুল কাদের কোটা কোটা আন্দোলন খালেদা জিয়া খালেদা জিয়া মুক্ত গ্রেপ্তার ১২ চিকিৎসককে মারধর: বিইউবিটির ৫০ জনের বিরুদ্ধে মামলা টানা বৃষ্টিতে নোয়াখালিতে ব্যাপক জলাবদ্ধতা ড. ইউনূস তারেক রহমান তিস্তা বাঁধ জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র ত্রিশাল ত্রিশাল ধানীখোলাতে প্রধান শিক্ষক নন-ক্যাডার নর্থ সাউথের পুনর্গঠিত নর্থ সাউথের পুনর্গঠিত বোর্ড অব ট্রাস্টিজ অবৈধ ঘোষণা নাহিদ ইসলাম পাকিস্তান প্রধান অতিথি তারেক রহমান প্রধান বিচারপতি প্রধানমন্ত্রীর সংবাদ সম্মেল প্রশ্নফাঁস প্রাথমিক বিদ্যালয় ফল কীভাবে পরে সিদ্ধান্ত বন্ধ হলো সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ বাংলা ব্লকেড বিজিবি বিজিবি মোতায়েন ভারত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলোচনায় বসতে চায় আওয়ামী লীগ শেখ হাসিনা সমমান সিকিমে ভূমিধসে গুঁড়িয়ে গেল তিস্তা বাঁধ জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র সিলেটে কারফিউর মধ্যেও থেমে নেই চিনি চোরাচালান ২ লাখ কোটি টাকা ছাড়াল খেলাপি ঋণের পরিমাণ

পুরাতন খবর

এক ক্লিকে বিভাগের খবর