পাকিস্তান সাম্প্রতিক সময়ে ঘরের মাঠে টেস্ট ম্যাচগুলোতে রক্ষণাত্মক কৌশল গ্রহণ করে, যেখানে জয়ের চেয়ে ড্র করার দিকে বেশি মনোযোগ দেওয়া হয়। বিশেষ করে রাওয়ালপিন্ডির ফ্ল্যাট উইকেট নিয়ে এমন অনেক অভিযোগ রয়েছে। তবে নতুন টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ চক্রে এই প্রবণতা পরিবর্তন করতে চায় পাকিস্তান, এবং তারা আক্রমণাত্মক টেস্ট খেলতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এই নতুন কৌশলের প্রথম প্রয়োগ হবে বাংলাদেশের বিপক্ষে আসন্ন টেস্ট সিরিজে।
আগামী ২১ আগস্ট রাওয়ালপিন্ডিতে সিরিজের প্রথম টেস্টে মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ ও পাকিস্তান। এই ম্যাচে পাকিস্তান দলে ৪ জন পেসার অন্তর্ভুক্ত থাকবে, যেখানে শাহিন আফ্রিদি ও নাসিম শাহ উল্লেখযোগ্য। সবচেয়ে আকর্ষণীয় বিষয় হলো, প্রথম টেস্টের একাদশে কোনো বিশেষজ্ঞ স্পিনার রাখা হয়নি।
লেগ স্পিনার আবরার আহমেদকে পাকিস্তানের ঘোষিত ১৭ জনের দলে রাখা হয়েছিল, তবে তাকে ‘এ’ দলের সিরিজে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। একইসাথে কামরান ঘুলামকেও ‘এ’ দলের স্কোয়াডে যুক্ত করা হয়েছে। পাকিস্তানের বর্তমান দলটি পুরোপুরি পেস বোলিং আক্রমণের ওপর নির্ভরশীল। এই আক্রমণের অংশ হিসেবে দলে রয়েছেন শাহিন আফ্রিদি, নাসিম শাহ, খুররাম শেহজাদ, মীর হামজা, এবং মোহাম্মদ আলী।
আমের জামালও টেস্ট দলে থাকার সম্ভাবনা ছিল, তবে তিনি প্রথম টেস্টে অনিশ্চিত। উল্লেখ্য, ২০১৯ সালে রাওয়ালপিন্ডিতে স্পিনার ছাড়া টেস্ট খেলেছিল পাকিস্তান। সাম্প্রতিক সময়ে পাকিস্তানের টেস্ট দলে স্পিনার হিসেবে আবরার আহমেদ, নোমান আলী, ও সাজিদ খান খেলেছেন। এছাড়া স্পিন অলরাউন্ডার হিসেবে সালমান আলী আঘাও দলে নিয়মিত ছিলেন।