শ্রমিকদের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলা প্রত্যাহার, বন্ধ কারখানা খুলে দেওয়া এবং বেতন বাড়ানোর দাবিতে সড়ক অবরোধ করে সকালে বিক্ষোভ করেছেন শ্রমিকেরা। বিক্ষোভের মুখে দুপুরের দিকে অন্তত ২৪ থেকে ২৫টি কারখানার উৎপাদন বন্ধ করে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করতে বাধ্য হয়েছে কর্তৃপক্ষ।
রোববার (২৯ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ৮টার দিকে বাইপাইল-আবদুল্লাহপুর সড়কের জিরাবো এলাকায় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করেন শ্রমিকরা। তবে অল্পসময়ের মধ্যেই তারা সড়ক ছেড়ে দেন। এরপর দুপুরের দিকে কারখানাগুলো বন্ধ করে দেয় কর্তৃপক্ষ।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, কারখানায় কাজে ফেরার জন্য এলাকাভিত্তিক মাইকিং করা হচ্ছে। মাইকে ঘোষণায় শ্রমিকদের কর্মস্থলে ফেরার জন্য অনুরোধ জানানো হচ্ছে। বলা হচ্ছে, ‘যারা শ্রমিক অস্থিরতা সৃষ্টির জন্য দায়ী, তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। দেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে পোশাক খাতের বিকল্প নেই। তাই দেশের স্বার্থে সব শ্রমিক ভাই বোন কাজে ফিরে যান।’
শ্রমিকরা জানান, গত ৯ সেপ্টেম্বর লুসাকা গ্রুপের একটি কারখানার ২৭ জন শ্রমিকের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও আসামি করে মামলা দায়ের করে কর্তৃপক্ষ। পরে গত বৃহস্পতিবার কারখানা খুলে দিলে শ্রমিকরা মামলা প্রত্যাহার চেয়ে আন্দোলন শুরু করেন।
এ সময় মালিকপক্ষ মামলা তুলে নেওয়ার আশ্বাস দিলে শ্রমিকরা শান্ত হন। কিন্তু শনিবার সকালে কাজের জন্য শ্রমিকরা কারখানায় এসে দেখেন ১৩(১) ধারায় বন্ধের নোটিশ গেটে রেখে দিয়েছে মালিকপক্ষ। পরে শ্রমিকরা আশেপাশের কয়েকটি কারখানার শ্রমিকদের বের করে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করেন। আজও শ্রমিকরা এর পুনরাবৃত্তি ঘটান। এ সময় আশেপাশের প্রায় ২৪ থেকে ২৫টি কারখানায় সাধারণ ছুটি ঘোষণা করে কর্তৃপক্ষ।
এ নিয়ে জানতে শিল্প পুলিশ-১ এর পুলিশ সুপার সারোয়ার আলমের সঙ্গে মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হয়। তবে তাকে পাওয়া যায়নি। শিল্প পুলিশের এক কর্মকর্তা বলেন, আজ সকালে ঝামেলা সৃষ্টি করার চেষ্টা করেন শ্রমিকরা। পরে যৌথবাহিনি তাদের বুঝিয়ে শান্ত করে। দুপুর পর্যন্ত ২৪ থেকে ২৫টি কারখানা বন্ধ ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ। তবে ১৩(১) ধারায় কতটি কারখানায় ছুটি হয়েছে, এবং কতটিতে সাধারণ ছুটি হয়েছে, তা এ মুহূর্তে বলা কঠিন।