সুপার এইটের শেষ ম্যাচে বাংলাদেশের বিপক্ষে খেলেছিল আফগানিস্তান। উত্তেজনাপূর্ণ সেই ম্যাচের ৪৮ ঘণ্টা পরই আবার মাঠে নামতে হয় রশিদ খানের দলকে। যথাযথ প্রস্তুতির অভাবে সেমিফাইনালে তাদের পারফরম্যান্সে তার প্রভাব পড়েছে।
ইতিহাস গড়ে সেমিফাইনালে উঠলেও, সেখানে লজ্জাজনক বিদায় নেয় আফগানিস্তান। কোচ জোনাথন ট্রট বলেন, “গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচ খেলে সেমিফাইনালে নামা আদর্শ নয়। গতকাল এখানে এসে আজই খেলতে হয়েছে, কোনো বিরতি পাইনি। তবে সূচি আগে থেকেই জানতাম, তাই অজুহাত নেই।”
তিনি আরও জানান, বাংলাদেশের বিপক্ষে ম্যাচ শেষে ঘুমানোর সুযোগও পাননি খেলোয়াড়রা। ট্রট বলেন, “রাত ৩টায় হোটেলে পৌঁছাই, সকাল ৮টায় হোটেল ছাড়ি। ফলে ছেলেরা ভালো ঘুম পায়নি এবং ক্লান্ত ছিল। প্রথমবারের মতো সেমিফাইনাল খেলেছে তারা। আশা করছি, এই অভিজ্ঞতা থেকে তারা শিক্ষা নেবে।”
এদিকে, আফগানিস্তানের সেমিফাইনালের আগে কেমন পরিস্থিতি ছিল, তা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স-এ জানিয়েছেন ইংল্যান্ডের সাবেক অধিনায়ক মাইকেল ভন। তিনি বলেন, “সোমবার রাতে সেন্ট ভিনসেন্টে জিতে বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে উঠেছে আফগানিস্তান। মঙ্গলবার চার ঘণ্টা ফ্লাইট দেরির পর ত্রিনিদাদে পৌঁছে, অনুশীলনের সুযোগ পায়নি এবং নতুন ভেন্যুর সঙ্গে মানিয়ে নিতেও পারেনি। খেলোয়াড়দের প্রতি এটা সম্মানের অভাব।”
তবে এবারের বিশ্বকাপ থেকে অনেক কিছু অর্জন করেছে আফগানিস্তান। গ্রুপ পর্বে নিউজিল্যান্ডকে হারানোর পর শেষ আটে অস্ট্রেলিয়াকে পরাজিত করেছে তারা। এ নিয়ে বেশ সন্তুষ্ট আফগান অধিনায়ক রশিদ খান।
রশিদ খান বলেন, “আমরা এই টুর্নামেন্ট উপভোগ করেছি। টুর্নামেন্টের আগে যদি কেউ বলত, তোমরা সেমিফাইনাল খেলবে এবং সেখানে দক্ষিণ আফ্রিকার মতো শীর্ষ দলের বিপক্ষে হেরে যাবে, আমরা তা ভালোভাবেই গ্রহণ করতাম। এটা মাত্র শুরু। যেকোনো দলকে হারানোর আত্মবিশ্বাস আমাদের আছে। আমাদের শুধু প্রক্রিয়া ঠিক রাখতে হবে। এটা আমাদের জন্য দারুণ শেখার অভিজ্ঞতা ছিল। এই টুর্নামেন্ট থেকে আমরা আত্মবিশ্বাস পেয়েছি। আমরা জানি, আমাদের সামর্থ্য আছে। এখন শুধু কঠিন পরিস্থিতি এবং চাপের মুহূর্তগুলো সামলাতে হবে।”