গত ৫ আগস্ট বাংলাদেশে রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে শেখ হাসিনার সরকারের পতন ঘটে। এই ঘটনা সারা দেশে বেশ কিছু অরাজকতার সৃষ্টি করে, যার মধ্যে পুলিশের থানাগুলো অন্যতম লক্ষ্যবস্তু হয়ে ওঠে। পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের তথ্য অনুযায়ী, সারা দেশে ৪০০’র বেশি থানায় হামলা হয়েছিল, যার মধ্যে অনেক থানায় ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়। এ সময় বেশ কয়েকজন পুলিশ সদস্য নিহত হন এবং অনেকেই আহত হন। এই পরিস্থিতিতে নিজেদের জীবনের নিরাপত্তাসহ বিভিন্ন দাবিতে পুলিশের সদস্যরা কর্মবিরতি শুরু করেন।
৮ আগস্ট সন্ধ্যার মধ্যে পুলিশের সব ইউনিটের সদস্যকে কাজে যোগদান করার নির্দেশ দেওয়া হয়। ধীরে ধীরে পুলিশ সদস্যরা কাজে ফিরতে শুরু করলেও, তাদেরকে এখনো মাঠে নামতে দেখা যায়নি।
এর পরিপ্রেক্ষিতে ১১ আগস্ট পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স জানায় যে, দেশের ৬৩৯টি থানার মধ্যে ৫৯৯টি থানার কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এর মধ্যে মহানগর পুলিশের আওতাধীন ৯৭টি এবং জেলা পুলিশের আওতাধীন ৫০২টি থানার কার্যক্রম চালু হয়েছে। বাকি ৪০টি থানার কার্যক্রম দ্রুত শুরু করার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।
যদিও অনেক থানার কার্যক্রম শুরু হয়েছে, তবে ক্ষয়ক্ষতির পরিপ্রেক্ষিতে থানাগুলোকে পুরোপুরি স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরতে আরও কিছু সময় লাগবে বলে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে এবং সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পুলিশের তরফ থেকে বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। জনগণের সহযোগিতায় ও পুলিশের প্রচেষ্টায় দ্রুত দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
সামগ্রিকভাবে, বর্তমান পরিস্থিতিতে পুলিশের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। তাদের সুষ্ঠু ও কার্যকর ব্যবস্থাপনাই দেশের নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনতে সহায়ক হবে। আশা করা হচ্ছে, অল্প সময়ের মধ্যে দেশের সব থানা কার্যক্রম পুরোপুরি চালু হবে এবং পুলিশ তাদের পূর্বের গতিতে জনগণের সেবা প্রদান করতে সক্ষম হবে।