পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) প্রতিষ্ঠাতা ইমরান খান হুমকি দিয়েছেন যে ন্যায়বিচার না পেলে তিনি অনশনের পথ বেছে নেবেন। গতকাল শুক্রবার দুর্নীতি মামলার শুনানিতে অংশ নেওয়ার পর সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপচারিতায় এ কথা বলেন তিনি।
সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান বলেন, তাঁর বিরুদ্ধে করা মামলাগুলো নিয়ে পছন্দ বা অপছন্দের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নেওয়া যাবে না। দেশের আইনে সব নাগরিকের সমান অধিকার রয়েছে। যদি তিনি ন্যায়বিচার না পান, তাহলে তিনি অনশন শুরু করার বিষয়েও ভাবছেন। একাধিক মামলায় সাজাপ্রাপ্ত হয়ে ইমরান খান এখন রাওয়ালপিন্ডির আদিয়ালা কারাগারে বন্দী। তাঁর অভিযোগ, এ কারাগার নিয়ন্ত্রণ করছেন সামরিক বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এবং কারাগারপ্রধান তাঁদের নির্দেশেই কাজ করেন। ফলে দলের নেতাদের সঙ্গে তাঁকে দেখা করতে দেওয়া হচ্ছে না।
এর আগে কারাগার নিয়ে ইমরান খান এই অভিযোগ তুলেছেন। সম্প্রতি দলের অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব নিয়ে তাঁর সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে গিয়েছিলেন কয়েকজন নেতা। অভিযোগ রয়েছে, সামরিক কর্মকর্তাদের নির্দেশে ইমরানের সঙ্গে সাক্ষাতের আগে তাঁদের অন্তত তিন ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হয়েছিল। পিটিআইয়ের ভেতরের দ্বন্দ্ব নিয়ে শুক্রবার সাংবাদিকদের ইমরান খান বলেন, দলের এই দ্বন্দ্বগুলো যেন জনসমক্ষে না আসে, সে জন্য নেতাদের নির্দেশনা দেবেন তিনি। কারণ, এতে মূল লক্ষ্য থেকে তাঁদের মনোযোগ সরে যেতে পারে। এদিকে, একটি আলাদা সংবাদ সম্মেলনে পিটিআইয়ের কেন্দ্রীয় তথ্য সচিব রউফ হাসান বলেন, তাঁদের দলের বিরুদ্ধে করা মামলাগুলো থেকে পাকিস্তানের প্রধান বিচারপতি কাজী ফায়েজ ঈসার সরে যাওয়া উচিত। কারণ, প্রধান বিচারপতির কর্মকাণ্ড নিয়ে তাঁদের সন্দেহ রয়েছে।
শুক্রবার সাংবাদিকদের কাছে একই কথা বলেন ইমরান খান। তিনি বলেন, পিটিআইয়ের বিরুদ্ধে করা মামলাগুলোর বিষয়ে প্রধান বিচারপতি আগেই সিদ্ধান্ত নিয়ে রেখেছেন। এমনকি আদালতের যে বেঞ্চে মামলাগুলোর বিচার চলছে, সেই বেঞ্চের অন্য সদস্যরাও প্রধান বিচারপতির উপস্থিতি নিয়ে আপত্তি তুলেছেন।