ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম পীর সাহেব চরমোনাই বলেছেন, ভারতের প্রতি বর্তমান সরকারের অতিরিক্ত ভক্তি তাদের জন্য বুমেরাং হবে। যেই দেশের মানুষ নয় মাসের যুদ্ধের মাধ্যমে পশ্চিমাদের বিতাড়িত করেছে, সেই জাতি পরাধীনতার শৃঙ্খল মেনে নিবে না। লক্ষ লক্ষ মুক্তিযোদ্ধা জীবনবাজি রেখে পাকিস্তানীদের তাড়িয়েছে, ভারতের অধীনে যাওয়ার জন্য নয়। তিনি ভারতের সাথে করা দেশবিরোধী চুক্তিগুলো বাতিলের আহ্বান জানান।
তিনি আরও বলেন, সর্বজনীন পেনশন প্রথার বিরুদ্ধে সারা দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের আন্দোলনকে তিনি সমর্থন করেন। সরকার গুন্ডা ও হেলমেট বাহিনী দিয়ে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন দমন করতে চাচ্ছে। পীর সাহেব চরমোনাই কোটাবিরোধী আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো মেনে নেওয়ার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, বাংলাদেশে কোটাপ্রথা চলবে না, চাকরি দিতে হবে যোগ্যতার ভিত্তিতে। মেধাহীনদের কোটার মাধ্যমে নিয়োগ দিয়ে সরকার প্রশাসনকে পঙ্গু করে দিচ্ছে এবং সেই কোটাধারীরাই দেশে দুর্নীতির বিস্তার করছে।
ইসলামী যুব আন্দোলন বাংলাদেশ মাদারীপুর জেলা শাখার উদ্যোগে আয়োজিত ৮ম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। মাদারীপুরের পৌর মুক্তিযোদ্ধা অডিটরিয়ামে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বিশেষ অতিথি ছিলেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় দফতর সম্পাদক মাওলানা লোকমান হোসাইন জাফরী এবং প্রধান বক্তা ছিলেন ইসলামী যুব আন্দোলনের সেক্রেটারী জেনারেল মুফতি মানসুর আহমাদ সাকী। সংগঠনের মাদারীপুর জেলা সভাপতি মাওলানা দেলোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন ফরিদপুর বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা এস এম আজিজুল হকসহ অন্যান্য সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
ইসলামী আন্দোলনের আমীর বলেন, মানুষকে হত্যা করা, গুম করা, দেশ ধ্বংস করা সবই চলছে, তবু তারা ক্ষমতা ছাড়বে না। তিনি প্রশ্ন তোলেন, ভারতকে দেয়া সুবিধা কি সত্যিই ট্রানজিট, না করিডোর? ট্রানজিট দিয়ে বাংলাদেশ কী পেল? জাতি জানতে চায়, এই খাতে দেশের আয় কত হয়েছে? তিনি বলেন, পররাষ্ট্রমন্ত্রী বললেন, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী চীন সফরে যাবেন, এতে ভারতের আপত্তি নেই। পররাষ্ট্রমন্ত্রীর এ বক্তব্য প্রমাণ করে যে, দেশ এখন আর স্বাধীন নেই। দেশের প্রধানমন্ত্রীর বিদেশ সফরে অন্য দেশের অনুমতি লাগবে, এটাই পরাধীনতার শৃঙ্খল।