ফাউন্ডেশন ফর ল’ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (ফ্লাড) এর আইন ও গবেষণা বিভাগের পরিচালক ব্যারিস্টার কাজী মারুফুল আলম জানিয়েছেন যে, সংযুক্ত আরব আমিরাতে আটক বাংলাদেশি শ্রমিকদের অধিকাংশই ওই দেশের আইন সম্পর্কে সম্পূর্ণভাবে অজ্ঞ ছিলেন। শ্রমিকদের জন্য আইনি সহায়তা প্রদান করার সময় ফ্লাডের পক্ষ থেকে এই তথ্য জানা যায়। শ্রমিকদের মুক্তি নিশ্চিত করার জন্য ফ্লাডের পক্ষ থেকে সংযুক্ত আরব আমিরাতে কর্মরত অ্যাডভোকেট জাকিয়া আক্তারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়, যিনি কনসালটেন্ট হিসেবে কাজ করছেন। জাকিয়া আক্তার ফ্লাডের পক্ষ থেকে বাংলাদেশি শ্রমিকদের মুক্তির বিষয়ে বাংলাদেশ দূতাবাসের সঙ্গে যোগাযোগ করেন এবং দুইটি স্থানীয় আইনজীবী প্রতিষ্ঠানকেও অন্তর্ভুক্ত করেন।
ফ্লাড আরও জানিয়েছে যে, আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাগুলোর সমর্থন লাভের জন্য সলিডারিটি সেন্টার, অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল এবং জেনেভার হিউম্যান রাইটস কমিশনের সঙ্গে চিঠি আদান-প্রদান করা হয়েছে। ফাওজিয়া করিম অ্যান্ড অ্যাসোসিয়েটসের পক্ষ থেকে ফ্লাডকে সর্বাত্মক আইনি সহযোগিতা প্রদান করার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে।
এই শ্রমিকদের মাত্র ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে বিচারের মুখোমুখি করে দ্রুত সাজা দেওয়া হয়েছে, অথচ তখন বাংলাদেশ দূতাবাস কোনো ভূমিকা রাখেনি দেশের রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে। শ্রমিকদের সহায়তার জন্য অ্যাডভোকেট জাকিয়া আক্তার যখন দূতাবাসের কাছে মামলা নম্বর জানতে চান, দূতাবাস জানায় তারা অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে এই বিষয়টি নিয়ে কাজ করছে। তবে, এখন পর্যন্ত শ্রমিকদের মুক্তির বিষয়ে কোনো দৃশ্যমান অগ্রগতি হয়নি, যা উদ্বেগজনক।
ফ্লাডের বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়, তারা এই বন্দি শ্রমিকদের জন্য সর্বোচ্চ আইনি সহায়তা প্রদানে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। যদি কেউ এই শ্রমিকদের পরিবারের সদস্য হন বা তাদের সম্পর্কে কোনো তথ্য রাখেন, তাহলে ফ্লাডের সঙ্গে যোগাযোগ করতে অনুরোধ করা হয়েছে। এই চ্যালেঞ্জিং সময়ে শ্রমিকদের ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে ফ্লাড দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। ফ্লাড আশা করছে, সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগগুলোও এ বিষয়ে দ্রুত পদক্ষেপ নেবে।