ময়মনসিংহের ত্রিশাল উপজেলার ধানীখলা ইউনিয়নের সোনাখালী পাজলার চর উচ্চ বিদ্যালয়ের গোপনে গঠিত পকেট কমিটি বাতিল, নতুন করে নির্বাচনের মাধ্যমে বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটি গঠন এবং প্রধান শিক্ষকের অপসারণের দাবিতে মানববন্ধন করেছেন শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা।
রবিবার সকাল ১১টায় সোনাখালী পাজলার চর উচ্চ বিদ্যালয়ের গেটের সামনে প্রায় সহস্রাধিক অভিভাবক এই মানববন্ধনে অংশ নেন। পরে তারা একই দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেন। এ সময় অবৈধ কমিটি বাতিলের দাবি জানানো হয়। অভিযোগ করা হয়, তফসিল প্রকাশ না করে গোপনে নিজস্ব লোকজন নিয়ে কমিটি গঠন করেছেন প্রধান শিক্ষক মো. দেলোয়ার হোসেন ও সভাপতি শাহ্ আলমগীর জয়। তাদের অপসারণের দাবিও জানানো হয়।
সম্প্রতি অবৈধ এই কমিটি থেকে পদত্যাগ করা শিক্ষক প্রতিনিধি তাহমিনা সুলতানা জানান, “কমিটির ব্যাপারে আমি জানতাম না। হঠাৎ একদিন সভাপতি ও প্রধান শিক্ষক আমাকে একটি কাগজে সই করতে বলেন। বাধ্য হয়ে সই করি। কমিটিতে শিক্ষক প্রতিনিধি হিসেবে আমাকে, সহকারী শিক্ষক মো. মোবারক হোসেন এবং আজিজুর রহমানকে সদস্য করলেও কোনো কাজে বা সিদ্ধান্তে আমাদের মতামতের তোয়াক্কা করা হয়নি। স্বেচ্ছাচারিতার মাধ্যমে যা করার, তারাই করেছেন। পরে আমরা তিনজন শিক্ষকই এই অবৈধ কমিটি থেকে পদত্যাগ করি। আমরা সকলের সাথে স্বেচ্ছাচারী সভাপতি ও প্রধান শিক্ষকের অপসারণের দাবি জানাই।”
৬ষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী সোমাইয়া জানান, “ভর্তির সময় প্রধান শিক্ষক স্যার জোরপূর্বক আমার কাছ থেকে ২৬ হাজার টাকা নিয়েছেন। বাধ্য হয়েই আমার পরিবারকে টাকাটা দিতে হয়েছে, যা আমাদের জন্য অনেক কষ্টের ছিল। আমি জোরজুলুমকারী প্রধান শিক্ষক ও সভাপতির পদত্যাগ দাবি করছি।”
অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী অভিতের পিতা জানান, “আমার ছেলে ৭ম শ্রেণিতে পরীক্ষা দেয়ার সময় প্রধান শিক্ষক দেলোয়ার হোসেন আমার কাছে ৩ হাজার টাকা দাবি করেন। টাকা দিতে না পারায় আমার ছেলেকে পরীক্ষা দিতে দেয়া হয়নি। পরে ৩ হাজার টাকা জমা দিলে তাকে পরীক্ষা দিতে দেয়া হয়।”
এসব ঘটনার প্রেক্ষিতে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা ত্রিশাল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। প্রধান শিক্ষক দেলোয়ার হোসেনের মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি কল রিসিভ করেননি।