হিজবুল্লাহ জানিয়েছে যে, তাদের যোদ্ধারা গত সোমবার থেকে গাজায় ফিলিস্তিনি জনগণের সমর্থনে কিছু কাতিউশা রকেট ইসরায়েলি বসতিগুলোতে নিক্ষেপ করেছে, যার মধ্যে এইন ইয়াকুব, গ্বা’তুন, এবং ইয়াহইয়াম অন্তর্ভুক্ত। এছাড়া, হিজবুল্লাহর গোলন্দাজ ইউনিট আদাসার পার্বত্য অঞ্চলে ইসরায়েলি সেনা-সমাবেশের ওপর গোলা বর্ষণ করেছে।
হিজবুল্লাহর সেনারা সোমবার অধিকৃত শাব্আ খামার এলাকায় জেবিদিন ও আররামসা এলাকার কাফার্ শুবা পাহাড়ে ইসরায়েলি অবস্থানে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে। ইসরায়েলি মিডিয়া জানিয়েছে যে, এইন ইয়াকুব বসতিতে হিজবুল্লাহর ক্ষেপণাস্ত্র হামলার ফলে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে।
ইয়েমেনের সশস্ত্র বাহিনীও জানিয়েছে, তারা ব্লু ল্যাগুন নামে একটি ইসরায়েলগামী জাহাজে সফল হামলা চালিয়েছে। ইয়েমেনের সেনা মুখপাত্র ইয়াহিয়া সারিয়ি বলেছেন, ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন ব্যবহার করে এই হামলা চালানো হয়েছে। তিনি ঘোষণা করেছেন যে, গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসন এবং অবরোধ বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত ইয়েমেন এই ধরনের হামলা অব্যাহত রাখবে।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে পশ্চিমা সহায়তায় ইসরায়েল গাজা ও পশ্চিম তীরে ব্যাপক হত্যাযজ্ঞ ও খাদ্য-অবরোধসহ নানা অপরাধ চালিয়ে যাচ্ছে। এখন পর্যন্ত ৪০ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি শহীদ হয়েছে এবং প্রায় এক লাখ আহত হয়েছে, যাদের অধিকাংশই শিশু ও নারী।
গাজার, লেবানন, ইরাক, ইয়েমেন ও সিরিয়ার প্রতিরোধ আন্দোলনগুলো বলেছে, তারা ইসরায়েলকে এসব অপরাধের জন্য চড়া মূল্য দিতে বাধ্য করবে। ইসরায়েল ১৯১৭ সালের ব্যালফোর ঘোষণা অনুযায়ী প্রতিষ্ঠিত হয় এবং ১৯৪৮ সালে তার অস্তিত্ব ঘোষণা করে। সেই সময় থেকে ফিলিস্তিনি জনগণের বিরুদ্ধে গণহত্যা ও ভূখণ্ড দখলের নানা ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে।