ঢাকার বাইরেও ছড়িয়ে পড়েছে সংঘাত, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের হামলা। কোটাবিরোধী আন্দোলনকারীদের ওপর হামলার প্রতিবাদ ও প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য প্রত্যাহারের দাবিতে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্লাটফর্ম থেকে সারাদেশে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।
রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্জন হলের সামনে একটি বিক্ষোভ মিছিল শেষে এই কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করা হয়, ছাত্রলীগ বহিরাগতদের দিয়ে রড-চাপাতি ব্যবহার করে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালিয়েছে।
সোমবার জাহাঙ্গীরনগর ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে কোটাবিরোধী আন্দোলনকারীদের ওপর হামলায় বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে। খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় ও কুয়েটের শিক্ষার্থীরা ঢাকা-খুলনা মহাসড়ক অবরোধ করে প্রতিবাদ করেছে। বরিশাল, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন ক্যাম্পাসেও প্রতিবাদ হয়েছে। বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ঢাকা-পটুয়াখালী মহাসড়ক অবরোধ করেছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিকরা জানিয়েছেন, কুমিল্লা, রাজশাহী ও শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের হামলায় বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের ওপর হামলায় শিক্ষকসহ ১০ জন আহত হয়েছেন। সন্ধ্যায় লাইব্রেরির সামনে থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হলে ছাত্রলীগ হামলা চালায়। এই সংঘর্ষে এক শিক্ষক ও চারজন ছাত্রীসহ অন্তত ১০ জন আহত হন।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়েও একই ধরনের হামলা হয়েছে। আন্দোলনকারীরা শাটল ট্রেনে করে চট্টগ্রাম শহরে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিল, তখন ছাত্রলীগ তাদের ওপর হামলা চালায়।
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় ও কুয়েটের শিক্ষার্থীরা একত্র হয়ে খুলনা-সাতক্ষীরা মহাসড়ক অবরোধ করে অবস্থান কর্মসূচি পালন করে। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীরা প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের প্রতিবাদে বিক্ষোভ ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করে, পরে ছাত্রলীগের হামলায় কয়েকজন আহত হয়।
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়েও আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা হয়েছে। বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ঢাকা-পটুয়াখালী মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে।
এই সব হামলায় যেসব ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা অংশ নিয়েছে, তাদের হলে ঢুকতে না দেয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে আন্দোলনের সমন্বয়ক নাহিদ ইসলামের পক্ষ থেকে।
সূত্র : বিবিসি