ডিবি হারুনের অপরাধমূলক কার্যক্রম ও অবৈধ সম্পদের বিশদ বিবরণ নিম্নরূপ:
ডিবি হারুনের প্রধান আয়ের উৎসগুলোর মধ্যে রয়েছে ঘুষ, দুর্নীতি, চাঁদাবাজি, জিম্মি করে অর্থ আদায়, মারধর, জমি দখল, বাড়ি দখল, প্লট দখল, ফ্ল্যাট দখল, গুম, খুন, হত্যা, অর্থ পাচার, মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি, আটকে রেখে নির্যাতন, নিয়োগ বাণিজ্য, নারী কেলেঙ্কারি। অপরাধমূলক কোনো কাজ নেই যেখানে ডিবি হারুনের সংশ্লিষ্টতা নেই।
তার সরকারি বেতন ৮০ হাজার টাকারও কম।
বিদেশে অর্থ পাচারের সুবিধার্থে ঢাকার পুরানা পল্টনের আজাদ প্রোডাক্টসের গলিতে তার নিজস্ব মানি এক্সচেঞ্জের অফিস রয়েছে। দুবাইতে এর কার্যক্রম পরিচালনার জন্য আরেকটি অফিসও রয়েছে।
ডিবি হারুনের নামে-বেনামে অন্তত তিনটি রিসোর্টের মালিকানা রয়েছে, পাশাপাশি একাধিক আবাসিক হোটেল ও ১০টি কোম্পানির মালিকানা আছে। তিনি অন্তত ৬টি দেশে ব্যবসা গড়েছেন।
উত্তরা ৩ নম্বর সেক্টর:
– ২০ নম্বর রোডে ৬তলা বাড়ি ‘পার্ক লেক ভিউ’ (হোল্ডিং নম্বর-৩০)।
– ৮তলা বাড়ি।
– ৭ নম্বর রোডে ১০ কাঠা জায়গায় ১০তলা মার্কেট (হোল্ডিং নম্বর-৫)।
– ১৫ নম্বর রোডে ১৪ তলা বাণিজ্যিক ভবন (হোল্ডিং নম্বর-২৩)।
– ৯ নম্বর রোডের ১ নম্বর হোল্ডিংয়ে ৭ কাঠার বাণিজ্যিক প্লট।
– ৯ নম্বর রোডের ১৪ নম্বর প্লটটি ৩২ কোটি টাকায় বিক্রি করেছেন।
– সাবেক ৯ নম্বর রোড (বর্তমানে রবীন্দ্র সরণি) ৭ কাঠার ৪১ নম্বর প্লটটি মাসিক ১৪ লাখ টাকায় ভাড়া দেওয়া।
১২ নম্বর সেক্টর:
– সোনারগাঁও জনপথ রোডে ৬তলা বাড়ি (হোল্ডিং নম্বর-২১)।
১৩ নম্বর সেক্টর:
– শাহ মখদুম এভিনিউয়ে প্লট (নম্বর-১২)।
– সোনারগাঁও জনপথ রোডে প্লট (হোল্ডিং নম্বর-৭৯)।
– ৩ নম্বর রোডে ৬তলা ভবন (হোল্ডিং নম্বর-৪৯)।
১০ নম্বর সেক্টর:
– ১১ নম্বর রোডে ৫ কাঠার প্লট (হোল্ডিং নম্বর-৩৯)।
– ১২ নম্বর রোডের ৪ নম্বর বাড়ি।
৫ নম্বর সেক্টর:
– ৬ নম্বর রোডে ১০ কাঠার দুটি প্লট (হোল্ডিং নম্বর-২৯ ও ৩০)।
১১ নম্বর সেক্টর:
– স্মৃতি কেবল টিভি লিমিটেডের পাশে ৫ কাঠার প্লট ‘স্টার কার সেলেকশন’কে ভাড়া দেওয়া।
১৪ নম্বর সেক্টর:
– ২০ নম্বর রোডের ১৭ ও ১৯ নম্বর প্লট।
বনানী কবরস্থানের দক্ষিণ পাশে ২০ কাঠার প্লট।
টঙ্গীর সাতাইশ মৌজায় ৮ বিঘা জমি।
টঙ্গীর গুশুলিয়া মৌজায় ছায়াকুঞ্জ-৫ আবাসিক প্রকল্পে ১২ বিঘা জমিতে আবাসিক হোটেল।
– যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে নিউ হাইড পার্ক এলাকায় স্ত্রীর নামে ৫ মিলিয়ন ডলারের বাড়ি।
– কিশোরগঞ্জের মিঠামইনে প্রেসিডেন্ট রিসোর্ট।
– গাজীপুরে সবুজ পাতা রিসোর্ট এবং ‘গ্রিন টেক’ রিসোর্টের শেয়ার।
– নন্দন পার্কে শেয়ার।
– আমেরিকান ডেইরি কোম্পানিতে বিনিয়োগ।
এত সম্পত্তি থাকা সত্ত্বেও ডিবি হারুনের সরকারি বেতন মাত্র ৮০ হাজার টাকার কম।