অমর একুশে বইমেলাকে কেন্দ্র করে কোনো নিরাপত্তা হুমকি নেই। তবে তাতে আত্মতুষ্টিতে ভুগছে না ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। বইমেলাকে কেন্দ্র করে নেওয়া হয়েছে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা। মঙ্গলবার সকালে অমর একুশে বইমেলা-২০২৩ নিরাপত্তার সার্বিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন ডিএমপি কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক।
তিনি বলেন, বইমেলাকে কেন্দ্র করে সব ধরনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। লেখক, পাঠক ও দর্শনার্থীরা যেন কোনো ধরনের নিরাপত্তার ঝুঁকি মনে না করেন সেজন্য পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। মেলা ঘিরে কোনো ধরনের জঙ্গি হামলার আশঙ্কা নেই। তবে আমরা আত্মতুষ্টিতে ভুগছি না।
উসকানিমূলক বক্তব্য ও লেখার বিষয়ে ডিএমপি কমিশনার বলেন, কেউ যেন উসকানিমূলক বই প্রকাশ না করে এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে না লেখে। আমাদের সাইবার ইউনিট কাজ করবে। বইমেলায় আসতে লেখক-প্রকাশকরা কোনো ধরনের হুমকি মনে করলে আমাদের অবহিত করলে আমরা ব্যবস্থা নেব।
বইমেলার সার্বিক নিরাপত্তার বিষয়ে তিনি বলেন, মেলাকেন্দ্রিক নিরাপত্তার পাশাপাশি শহিদ মিনারকেন্দ্রিক ও শাহবাগ-নীলক্ষেতকেন্দ্রিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে। বাংলা একাডেমি ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের আশপাশে তল্লাশি দল থাকবে, সন্দেহজনক কিছু দেখলে তারা তল্লাশি করবে। মূল মেলা প্রাঙ্গণে প্রবেশের আগে প্রতিটি প্রবেশপথে আর্চওয়ে, মেটাল ডিটেক্টর থাকবে।
‘এছাড়া কাউকে সন্দেহ হলে তাকে পৃথক কক্ষে নিয়ে তল্লাশি করা হবে। মেলা প্রাঙ্গণসহ আশপাশের এলাকার প্রতিটি ইঞ্চি জায়গা সিসিটিভির আওতায় আনা হয়েছে। মেলা প্রাঙ্গণে সাদা পোশাকে পুলিশ সদস্যের পাশাপাশি পর্যাপ্ত সংখ্যক পোশাকধারী সদস্যও মোতায়েন থাকবে। মেলার আশপাশে মোটরসাইকেল ও গাড়ির টহল থাকবে। এছাড়া সিটিটিসি, বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট, ক্রাইম সিন ভ্যান ও ডগ স্কোয়াড প্রস্তুত থাকবে। যেকোনো জরুরি পরিস্থিতি মোকাবিলায় সার্বিক প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।’ডিএমপিপ্রধান বলেন, মেলায় মেডিকেল টিম ও ফায়ার সার্ভিস মোতায়েন থাকবে। ডিএমপি কন্ট্রোল রুমের ভেতরে ব্রেস্ট ফিডিং কক্ষ থাকবে। আমাদের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা নিয়মিত মেলা প্রাঙ্গণে আসবেন ও নিরাপত্তা বিষয়ে পর্যবেক্ষণ করবেন।