শিক্ষার্থীদের কোটা সংস্কার আন্দোলনের পর শেখ হাসিনা সরকারের পতনের ফলে দেশে বিশাল পরিমাণ নৈরাজ্য ও অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড বেড়ে গেছে। প্রতিবেদন অনুযায়ী, ডাকাতদল বেপরোয়া হয়ে উঠেছে এবং প্রতিদিনই দেশের বিভিন্ন স্থানে মানুষের বাড়িতে হামলা, লুটপাট ও চুরির ঘটনা ঘটছে।
নৈরাজ্য ও অপরাধের বিস্তার
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে, গত সোমবার থেকে দেশের বিভিন্ন স্থানে ব্যাপক নৈরাজ্য শুরু হয়েছে। ডাকাতি, লুটপাট, রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাসহ মানুষের বাসাবাড়িতে হামলা চালিয়ে অগ্নিসংযোগ করা হচ্ছে। রাজধানীসহ সারা দেশে ডাকাতি, ছিনতাই, চুরিসহ নানা অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড চলছে।
ভুক্তভোগী এলাকাগুলোর বেশিরভাগ মানুষ জানান, বর্তমানে সবচেয়ে বেশি ডাকাতি ও লুটপাট হচ্ছে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের বাসায়। ডাকাতদের মধ্যে বেশিরভাগই টোকাই ও উঠতি তরুণ। এই পরিস্থিতিতে এলাকাভিত্তিক পাহারা বসিয়ে রাতভর ডাকাত প্রতিহতের চেষ্টা চলছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এসব ঘটনার তথ্য, ছবি ও ভিডিও প্রকাশ করে উদ্বেগ প্রকাশ করা হচ্ছে। ডাকাত প্রতিরোধে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সেনাবাহিনী ও আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের প্রতি আহ্বান জানানো হচ্ছে।
পুলিশবিহীন থানা ও অপরাধের সুযোগ
ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কর্মবিরতির কারণে, রাজধানীর বেশ কিছু এলাকা মঙ্গলবার রাত থেকে পুলিশবিহীন হয়ে পড়ে। এই সুযোগে ডাকাতি ও ছিনতাইয়ের ঘটনা বেড়ে গেছে। উত্তরা, মোহাম্মদপুর, মিরপুর, কালশী, ইসিবি চত্বর, ঘাটার চর, বালুর চর, বছিলা, বাড্ডা ও ধানমণ্ডি এলাকায় গত তিন দিন ধরে ডাকাতির চেষ্টা চলছে। এলাকাবাসী জানান, থানা-পুলিশের কার্যক্রম শুরু করা এখন জরুরি। অন্যথায়, জনমনে চলমান আতঙ্ক দূর হবে না।