লক্ষ্মীপুরে কোটা সংস্কার আন্দোলনের সহিংসতার অভিযোগে বিস্ফোরক আইনে করা একটি মামলায় কলেজ ছাত্র সাইফ মোহাম্মদ আলীকে গ্রেপ্তার করতে গেলে তাঁর বাবা সামছুল আলম (৫২) হার্ট অ্যাটাকে মারা যান। মঙ্গলবার ভোরে লক্ষ্মীপুর পৌরসভার ১০ নম্বর ওয়ার্ডের কালু হাজি সড়কের একটি বাসায় এ ঘটনা ঘটে।
সাইফ লক্ষ্মীপুর সরকারি কলেজের স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষের ছাত্র। পুলিশ জানায়, ২১ জুলাই লক্ষ্মীপুরে উত্তর তেমুহনী এলাকায় জেলা বিএনপির সদস্যসচিব সাহাবুদ্দিন সাবুর বাসার সামনে ককটেল বিস্ফোরণ ও ইটপাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় পুলিশ ১৩ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা ৭০-৮০ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে, যার মধ্যে সাইফকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। যদিও সাইফের নাম এজাহারে নেই, তবে পুলিশ জানায়, তিনি ছাত্রশিবিরের রাজনীতিতে সক্রিয়।
সাইফের মা তাহমিনা আক্তার বলেন, সাইফ কোনো রাজনীতির সঙ্গে জড়িত নন এবং তাঁর নামে কোনো মামলা ছিল না। পুলিশ জোর করে তাঁকে নিয়ে যাচ্ছিল, এ সময় আতঙ্কিত হয়ে তাঁর বাবা বুকে ব্যথা অনুভব করে মারা যান।
পরিবার ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, দুপুরে সাইফকে আদালতে সোপর্দ করে পুলিশ। আদালতে সাইফের পরিবারের জামিন আবেদন করলে, তাঁকে বাবার জানাজায় অংশ নিতে বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত একজন আইনজীবীর জিম্মায় জামিন দেওয়া হয়।
লক্ষ্মীপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. ইয়াছিন মজুমদার ফারুক জানান, সাইফ সম্প্রতি কোটা আন্দোলন ঘিরে নাশকতার চেষ্টা করছিলেন এবং কোটা আন্দোলনে তাঁর সক্রিয় থাকার প্রমাণ পুলিশের কাছে রয়েছে। এছাড়া তিনি শিবিরের রাজনীতিতেও সক্রিয়।