শনিবার (১৭ আগস্ট), অবসরে যাওয়া পাঁচ অতিরিক্ত সচিবকে চুক্তিভিত্তিক সচিব হিসেবে নিয়োগ দিয়েছে সরকার। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে এ বিষয়ে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। এই প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয় যে, অবসরপ্রাপ্ত অতিরিক্ত সচিব ড. শেখ আব্দুর রশিদকে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব, মো. এহছানুল হককে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব, ড. মোহাম্মদ আব্দুল মোমেনকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সচিব, ড. নাসিমুল গনিকে রাষ্ট্রপতি কার্যালয়ের জন বিভাগের সচিব এবং এম এ আকমল হোসেন আজাদকে রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
এই নিয়োগগুলো তাদের অবসর পরবর্তী সময়ে, অন্যান্য প্রতিষ্ঠান ও সংগঠনের সঙ্গে কর্ম-সম্পর্ক পরিত্যাগের শর্তে দেওয়া হয়েছে। তাদেরকে যোগদানের তারিখ থেকে দুই বছরের জন্য চুক্তিতে এই দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। চুক্তিভিত্তিক এই নিয়োগগুলো মূলত তাদের পূর্ববর্তী অভিজ্ঞতা এবং প্রশাসনিক দক্ষতার ভিত্তিতে করা হয়েছে, যা সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়গুলোতে স্থিতিশীলতা এবং কার্যকরী প্রশাসনের লক্ষ্যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
এদিকে, শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর দায়িত্ব গ্রহণ করা অন্তর্বর্তীকালীন সরকার সম্প্রতি এসব মন্ত্রণালয়ের সচিবদের চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের ব্যাপারে পদক্ষেপ নিয়েছে। তারা চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ বাতিল করে কিছু সচিবকে অন্য মন্ত্রণালয়ে বদলি করেছে। এই পরিবর্তনগুলো মূলত প্রশাসনের ধারাবাহিকতা ও কার্যক্রমের প্রাসঙ্গিকতা নিশ্চিত করার জন্য করা হয়েছে, যদিও কিছু সচিব তাদের নতুন দায়িত্বে স্থির থাকবেন। অন্তর্বর্তী সরকারের এই পদক্ষেপ প্রশাসনিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে এবং সরকারি কার্যক্রমের ধারাবাহিকতা নিশ্চিত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলে মনে করা হচ্ছে।
অবসরপ্রাপ্ত সচিবদের চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ এবং পরে তাদের বদলির এই বিষয়টি বর্তমান রাজনৈতিক এবং প্রশাসনিক পরিস্থিতির একটি প্রতিফলন। এটি প্রমাণ করে যে, প্রশাসনিক কাঠামোর ভিতরে বিভিন্ন পরিবর্তন এবং পুনর্বিন্যাসের প্রয়োজনীয়তা থাকে, বিশেষ করে যখন সরকারের পরিবর্তন ঘটে। চুক্তিভিত্তিক নিয়োগগুলো নির্দিষ্ট মন্ত্রণালয়ে দক্ষ প্রশাসনের জন্য প্রয়োজনীয়, তবে একই সঙ্গে নতুন সরকারের নীতিমালা এবং কৌশল অনুযায়ী এই ধরনের সিদ্ধান্তগুলো গ্রহণ করা হয়।
সরকারি কর্মচারীদের নিয়োগ, বদলি এবং প্রশাসনিক পুনর্বিন্যাস সরকারের কার্যক্রমে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। এই ধরনের সিদ্ধান্তগুলো প্রশাসনিক কার্যক্রমের মান উন্নয়ন, দক্ষতা বৃদ্ধি এবং সুশাসন প্রতিষ্ঠার জন্য অপরিহার্য। নতুন করে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগপ্রাপ্ত এই সচিবদের অভিজ্ঞতা ও দক্ষতা সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের উন্নয়নে সহায়ক হবে বলে আশা করা হচ্ছে।