সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে চারজন নতুন বিচারপতির নিয়োগ দেওয়া হয়েছে, যা দেশের বিচার ব্যবস্থা ও আইনি কাঠামোর জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে এবং সংবিধানের আলোকে এই নিয়োগ সম্পন্ন হয়েছে, যা সোমবার রাতে আইন মন্ত্রণালয় থেকে প্রজ্ঞাপন আকারে প্রকাশিত হয়।
নতুনভাবে নিয়োগপ্রাপ্ত বিচারপতিরা হলেন: হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী, বিচারপতি সৈয়দ জিয়াউল করিম, বিচারপতি মো. রেজাউল হক, এবং বিচারপতি এস এম এমদাদুল হক। এই চারজন বিচারপতি তাদের নতুন দায়িত্ব গ্রহণের মধ্য দিয়ে দেশের উচ্চ আদালতের বিচারিক কার্যক্রমে নতুন মাত্রা যোগ করবেন।
মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টায় সুপ্রিম কোর্টের জাজেস লাউঞ্জে প্রধান বিচারপতি তাদের শপথবাক্য পাঠ করাবেন। এই শপথ গ্রহণের মধ্য দিয়ে তারা আনুষ্ঠানিকভাবে আপিল বিভাগে বিচারক হিসেবে দায়িত্ব পালন শুরু করবেন। শপথ গ্রহণের অনুষ্ঠানে সুপ্রিম কোর্টের অন্যান্য বিচারপতিরা, উচ্চ পর্যায়ের সরকারি কর্মকর্তা, এবং আইনজীবী নেতৃবৃন্দ উপস্থিত থাকবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
এই নিয়োগের প্রেক্ষাপটে দেশের বিচার বিভাগের সাম্প্রতিক পরিবর্তনগুলো বেশ তাৎপর্যপূর্ণ। এর আগে, শনিবার সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের পাঁচজন বিচারপতি হঠাৎ পদত্যাগ করেন, যা দেশের আইনি অঙ্গনে বেশ আলোড়ন সৃষ্টি করে। পদত্যাগের মধ্যে ছিলেন প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানও। তাদের এই পদত্যাগের কারণ নিয়ে আলোচনা চলছে, তবে সরকারি বা বিচার বিভাগের পক্ষ থেকে এ নিয়ে বিস্তারিত কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
নতুন বিচারপতিদের নিয়োগের মাধ্যমে আপিল বিভাগের শূন্যস্থান পূরণ করা হয়েছে। এই নিয়োগ দেশের বিচার ব্যবস্থা চালু রাখতে এবং আইনের শাসন বজায় রাখতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। হাইকোর্টের অভিজ্ঞ বিচারপতিদের আপিল বিভাগে নিয়োগ দেওয়া দেশের বিচারিক কাঠামোকে আরও শক্তিশালী করবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এই নিয়োগপ্রাপ্তরা এর আগে হাইকোর্ট বিভাগে তাদের যোগ্যতা ও দক্ষতা প্রমাণ করেছেন। তাদের আইনি জ্ঞান ও ন্যায়ের প্রতি অঙ্গীকারের ভিত্তিতে, তারা দেশের সর্বোচ্চ আদালতে দায়িত্ব পালন করবেন এবং জটিল ও গুরুত্বপূর্ণ মামলাগুলোর বিচারিক দায়িত্ব পালন করবেন।
নতুন বিচারপতিরা দেশের বিচার ব্যবস্থায় ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে নতুন দৃষ্টিভঙ্গি এবং উন্নততর মান নিশ্চিত করবেন বলে আশা করা হচ্ছে। বিচারপতি হিসেবে তাদের নিয়োগ বাংলাদেশের বিচার ব্যবস্থায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে, যা দেশ ও জনগণের জন্য একটি ইতিবাচক পদক্ষেপ।