কোটা বাতিলের দাবিতে পূর্বঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ করেছেন। তারা শাহবাগ মোড় অবরোধ করে কোটা বিরোধী স্লোগান দেন, যার ফলে ওই এলাকায় যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। শনিবার বিকাল সাড়ে ৩টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে থেকে মিছিল শুরু হয়ে টিএসসি ও ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে। ‘বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন’ ব্যানারে অনুষ্ঠিত এই মিছিল শাহবাগে পৌঁছে সড়ক অবরোধ করে।
শিক্ষার্থীরা স্লোগান দেন, ‘কোটা প্রথা, বাতিল চাই’, ‘কোটা না মেধা, মেধা মেধা’, ‘মুক্তিযুদ্ধের বাংলায়, বৈষম্যের ঠাই নাই’ ইত্যাদি।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃবিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র সৈয়দ বায়াজিদ হোসেন বলেন, ‘এটি আমাদের নৈতিক আন্দোলন। একপক্ষকে সুবিধা দিতে কোটা প্রথা চালু করা হয়েছে, যা আমরা মানি না। সংবিধানে সুযোগের সমতার কথা বলা হয়েছে, সেখানে কোটার কোনো বাধ্যবাধকতা নেই।’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭৩টির বেশি বিভাগে শিক্ষার্থীরা ক্লাস ও পরীক্ষা বর্জন করেছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম শিক্ষক-কর্মচারীদের কর্মবিরতির কারণে ইতোমধ্যে বন্ধ রয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থী লাবিবা বিনতে ওয়ালী বলেন, ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন’ প্লাটফর্মের কর্মসূচির সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করে তাদের ব্যাচের পক্ষ থেকে ক্লাস ও পরীক্ষা বর্জন করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, ২০১৮ সালে আন্দোলনের মুখে সরকার প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির চাকরিতে বিদ্যমান ৫৬ শতাংশ কোটা বাতিল করে পরিপত্র জারি করে। ২০২১ সালে ওই পরিপত্রের ৩০ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিল নিয়ে হাইকোর্টে রিটের প্রেক্ষিতে গত ৫ জুন হাইকোর্ট পরিপত্রটি বাতিল করে এবং সর্বশেষ বৃহস্পতিবার আপিল বিভাগে হাইকোর্টের রায় বহাল রাখা হয়। এরপর ১ জুলাই থেকে দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা আবারও আন্দোলনে নামেন।