সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে ৩০০ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের প্রমাণ পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এর পাশাপাশি, দুদকের অনুসন্ধানে আরও ২০০ কোটি টাকার বেশি মানিলন্ডারিংয়ের অভিযোগও উঠে এসেছে।
অনুসন্ধানে দেখা গেছে, আসাদুজ্জামান খান কামাল, তার স্ত্রী লুৎফুল তাহমিনা খান, ছেলে শাফি মোদাচ্ছের খান, মেয়ে সোফিয়া তাসনিম খান এবং সহকারী একান্ত সচিব মনির হোসেনের নামে ব্যাংক হিসাবেই শত কোটি টাকার বেশি অর্থের সন্ধান পাওয়া গেছে। দুর্নীতি ও অনিয়মের এই অভিযোগে দুদক শিগগিরই তাদের বিরুদ্ধে মামলা করার প্রস্তুতি নিচ্ছে।
এ ছাড়া স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব ধনঞ্জয় কুমার দাস, ডিআইজি মোল্যা নজরুল ইসলাম, মন্ত্রীর সাবেক পিএস অতিরিক্ত সচিব হারুন অর রশিদ বিশ্বাস, প্রশাসনিক কর্মকর্তা মোল্লা ইব্রাহিম হোসেন এবং জনসংযোগ কর্মকর্তা শরীফ মাহমুদ অপু সহ বেশ কয়েকজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অনুসন্ধান চলছে।
উল্লেখযোগ্যভাবে, এই সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে পুলিশ, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর ও ফায়ার সার্ভিস থেকে কোটি কোটি টাকা আদায়ের অভিযোগ রয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট সকল ব্যাংক হিসাব ও আয়কর নথি যাচাই করা হচ্ছে এবং সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
