মাতারবাড়ী বিদ্যুৎ প্রকল্পে দুর্নীতির ভয়াবহ চিত্র
দেশের কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ প্রকল্পগুলোর মধ্যে অন্যতম কক্সবাজারের মাতারবাড়ী ১২০০ মেগাওয়াট ক্ষমতার আলট্রা সুপার ক্রিটিক্যাল বিদ্যুৎ প্রকল্পে ভয়াবহ দুর্নীতি হয়েছে। একের পর এক বেরিয়ে আসছে দুর্নীতির ঘটনা। প্রকল্প সূত্রে জানা গেছে, বিদ্যুৎ কেন্দ্রটির কয়লা আমদানিতে তিন বছরেই ৫ হাজার কোটি টাকা আত্মসাতের পরিকল্পনা করেছিলেন প্রকল্পে জড়িত শীর্ষ কর্মকর্তারা। কিছুদিন আগে ‘মাতারবাড়ীতে ১৭৭০ কোটি টাকার দুর্নীতি’ শিরোনামে একটি খবর প্রকাশিত হয়। এর পরপরই ১৫ কোটি টাকার তার পাচারের ঘটনা ঘটে। পালানোর সময় গ্রেপ্তার হয়েছেন প্রকল্পের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) আবুল কালাম আজাদ।
মাতারবাড়ী বিদ্যুৎ প্রকল্পে কয়লা আমদানির দরপত্রে অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে। এ বিষয়ে আন্তর্জাতিক কনসোর্টিয়াম কর্তৃপক্ষ সিপিজিসিবিএল-এর বিরুদ্ধে চিঠি প্রদান করেছে। চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, দরপত্র প্রক্রিয়া ১০ মাস দেরি করা হয়েছে এবং কয়লা আমদানির শর্ত পরিবর্তন করে অন্যান্য পণ্যের অভিজ্ঞতা যোগ্যতা হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এ ঘটনায় সুপ্রিম কোর্টে শুনানি চলছে।
এদিকে, বিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রায় ১৫ কোটি টাকার বৈদ্যুতিক তার পাচারকালে নৌবাহিনী সাতজনকে আটক করেছে। অভিযানের সময় পালানোর চেষ্টা করেন এমডি আবুল কালাম আজাদসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। এরপর ঢাকার বিমানবন্দর থেকে এমডি আজাদকে আটক করা হয়। তদন্তে জানা গেছে, কয়লা আমদানির পাশাপাশি বিদ্যুৎ কেন্দ্রে ব্যবহৃত কয়লা থেকে উৎপাদিত ড্রাই অ্যাশ বিক্রিতেও বড় ধরনের অনিয়ম হয়েছে। দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধানে দুদক তদন্তের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বাংলাদেশ প্রতিদিনের এক অনুসন্ধানে উল্লেখ করা হয়, সিপিজিসিবিএল-এর বিদ্যুৎ প্রকল্পে প্রায় ১৫৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বা ১ হাজার ৭৭০ কোটি টাকার দুর্নীতি ও অনিয়মের ঘটনা ঘটেছে।