জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) অনুবিভাগের “আইডেন্টিফিকেশন সিস্টেম ফর এনহ্যান্সিং একসেস টু সার্ভিসেস (আইডিইএ)-২” প্রকল্পের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মবিরতি ঘোষণা করেছেন।
বুধবার, ২১ আগস্ট সকাল সাড়ে ৮টা থেকে তাদের দাবি আদায়ের লক্ষ্যে আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনের সামনে এই অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেন। এতে এনআইডি সেবা বন্ধ হয়ে গেছে। এই কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছেন নির্বাচন কমিশনের আইডিইএ-২ প্রকল্পের আউটসোর্সিংয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। তারা চাকরি স্থায়ীকরণ এবং এনআইডি সেবা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে নির্বাচন কমিশনে স্থানান্তরের দাবি জানিয়ে এ কর্মবিরতি পালন করছেন।
জানা গেছে, এই কর্মসূচি কেবল ঢাকার নির্বাচন ভবনেই নয়, সারা দেশের সকল নির্বাচন কার্যালয়ে পালিত হচ্ছে। নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের অধীনে আইডিইএ-২ প্রকল্পের ৯ গ্রেড থেকে ২০ গ্রেড পর্যন্ত সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীরা এতে অংশ নিয়েছেন। আন্দোলনকারীরা জানিয়েছেন, তাদের দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত এই কর্মবিরতি অব্যাহত থাকবে।
আইডিইএ-২ প্রকল্পে বর্তমানে ২,২৬০ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী কাজ করছেন, যারা মাঠপর্যায়ে এনআইডির বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করেন। অনেকেই তাদের কর্মজীবনের প্রায় অর্ধেক পেরিয়ে এসেছেন, তাই চাকরির স্থায়ীকরণ তাদের প্রধান দাবি।
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি সরকার এনআইডি অনুবিভাগকে নির্বাচন কমিশন থেকে সরিয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের অধীনে নেওয়ার জন্য একটি স্বতন্ত্র আইন প্রণয়ন করেছে। তবে, আইনটি কার্যকর না হওয়া পর্যন্ত এনআইডি কার্যক্রম নির্বাচন কমিশনের অধীনেই থাকবে। এনআইডি ইসির অধীনে রাখার পক্ষে সুশীল সমাজের প্রতিনিধি, বিশেষজ্ঞ, এবং সাবেক নির্বাচন কমিশনাররা মত দিয়েছেন। তাদের মতে, ভোটার তালিকার ভিত্তিতে এনআইডি প্রদান করা হয় এবং নির্বাচন কমিশনের প্রায় দেড় যুগের দক্ষতা ও অবকাঠামো রয়েছে। অন্য কোনো দপ্তরের অধীনে নিলে নতুন করে লোকবল ও অবকাঠামো গড়ে তুলতে হবে, যা রাষ্ট্রের ব্যয় ও নাগরিকদের ভোগান্তি বাড়াবে।