অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নাম প্রস্তাব করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। শান্তিতে নোবেলবিজয়ী ড. ইউনূস এ প্রস্তাবে সম্মতি জানিয়েছেন।
বিবিসিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ড. ইউনূস বলেন, “যে শিক্ষার্থীরা এত ত্যাগ স্বীকার করেছেন, তাঁরা যখন এই কঠিন সময়ে আমাকে এগিয়ে আসার অনুরোধ করেন, তখন আমি কীভাবে তা প্রত্যাখ্যান করি?”
কোটা সংস্কার আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় ছাত্র-জনতার বিক্ষোভের মুখে গতকাল সোমবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে দেশ ছেড়েছেন। এরপর অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের প্রক্রিয়া শুরু হয়। রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বঙ্গভবনে তিন বাহিনীর প্রধানদের উপস্থিতিতে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা ও নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করেন। বৈঠকের পর বঙ্গভবনের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, জাতীয় সংসদ ভেঙে দিয়ে দ্রুত অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন করা হবে।
ভোররাতে এক ভিডিও বার্তায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের রূপরেখা ঘোষণা করেন। তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে প্রধান উপদেষ্টা করে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন করা হবে। ড. ইউনূস ছাত্র-জনতার আহ্বানে বাংলাদেশকে রক্ষা করতে এই গুরুদায়িত্ব নিতে সম্মত হয়েছেন।
নাহিদ ইসলাম আরও জানান, তাঁরা সকালের মধ্যেই সরকার গঠনের প্রক্রিয়া দেখতে চান এবং রাষ্ট্রপতির কাছে দ্রুত সময়ের মধ্যে ড. ইউনূসকে প্রধান উপদেষ্টা করে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের আহ্বান জানান।
বিবিসির প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, ড. মুহাম্মদ ইউনূস বর্তমানে ফ্রান্সের প্যারিসে আছেন। ইউনূস সেন্টারের নির্বাহী পরিচালক লামিয়া মোরশেদ জানান, তিনি শিগগিরই ঢাকা ফিরবেন।