প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্যোগে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনার অংশ হিসেবে সাতটি ইসলামি দলের নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। শনিবার বিকেল ৩টা থেকে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় শুরু হওয়া এই বৈঠকটি পাঁচ ঘণ্টা ধরে চলবে, যেখানে দলগুলোর নেতাদের সঙ্গে দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করা হচ্ছে।
প্রথম ঘণ্টায় বৈঠকে অংশ নেন খেলাফত মজলিস, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস, হেফাজতে ইসলামী, জমিয়তে উলামে ইসলামী, খেলাফত আন্দোলন এবং নেজামী ইসলামের নেতারা। বর্তমানে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের নেতারা অধ্যাপক ইউনূসের সঙ্গে বৈঠক করছেন। ইসলামী আন্দোলনের নেতৃত্ব দিচ্ছেন চরমোনাই পীর রেজাউল করীম। তার সঙ্গে আছেন সিনিয়র নায়েবে আমির ফয়জুল করীম, মহাসচিব ইউনুস আহমেদ, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব গাজী আতাউর রহমান ও যুগ্ম মহাসচিব আশরাফুল আলম।
এর আগে খেলাফত মজলিসের পক্ষে দলের আমির মাওলানা আবদুল বাছিত আজাদ নেতৃত্ব দেন। তার সঙ্গে ছিলেন মহাসচিব আহমেদ আবদুল কাদের, নায়েবে আমির সাখাওয়াত হোসেন, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব জাহাঙ্গীর হোসেন, যুগ্ম মহাসচিব মুনতাসীর আলী ও প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক কাজী মিনহাজুল ইসলাম মিলন। বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের প্রতিনিধি দলে ছিলেন দলটির আমির ইউসুফ আশরাফ, মহাসচিব মামুনুল হক ও যুগ্ম মহাসচিব জালাল উদ্দিন।
জমিয়তে উলামে ইসলামের একাংশের পক্ষে নেতৃত্ব দেন মহাসচিব মনজুরুল ইসলাম আফেন্দি। হেফাজতে ইসলামের পক্ষে নেতৃত্ব দেন মহাসচিব সাজেদুর রহমান, তার সঙ্গে ছিলেন আজিজুল হক ও কেন্দ্রীয় নেতা মুনীর হোসেন কাশেমী। নেজামী ইসলামের পক্ষে নির্বাহী সভাপতি মাওলানা আশরাফুল হক নেতৃত্ব দেন, সঙ্গে ছিলেন মহাসচিব মাওলানা মোমিনুল ইসলাম। খেলাফত আন্দোলনের পক্ষে নেতৃত্ব দেন নায়েবে আমির মজিবুর রহমান হামেদি।
বৈঠকটি এমন এক সময় অনুষ্ঠিত হচ্ছে যখন আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর ৮ অগাস্ট মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন উপদেষ্টা পরিষদ অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্ব গ্রহণ করেছে। ছাত্র-জনতার আন্দোলনে গত ৫ অগাস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের তিনদিন পর এই সরকার গঠিত হয়। আওয়ামী লীগকে বাদ দিয়ে অন্যান্য রাজনৈতিক দল ও সেনাবাহিনীর সঙ্গে আলোচনা করে এই অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
এই বৈঠকের মাধ্যমে প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস দেশের বর্তমান রাজনৈতিক সংকট মোকাবিলায় ইসলামি দলগুলোর মতামত গ্রহণ করছেন এবং ভবিষ্যৎ কর্মপরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা করছেন। বর্তমান রাজনৈতিক অস্থিরতা নিরসনে ইসলামি দলগুলোর সহায়তা ও অংশগ্রহণের গুরুত্ব বিবেচনা করে এই বৈঠকটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলে আশা করা হচ্ছে।