রাশিয়া – ইউক্রেন সংঘাতের ছয়মাস পেরিয়ে গেলেও কোনো পক্ষই পিছুহটার কোনো লক্ষণই দেখাচ্ছে না। তবে এক সময় ইউক্রেনের স্বাধীনতা দিবসে দেশটিতে অভিনন্দন জানিয়ে কিয়েভের সঙ্গে বন্ধুত্বের বার্তা দিয়েছিলেন পুতিন। সেটা অবশ্য সেই ২০০৭ সালের কথা। ২০০৭ সালের ২৪ আগস্ট ক্রেমলিনের একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তি অনুসারে, পুতিন সোভিয়েত ইউনিয়ন থেকে ইউক্রেনের স্বাদীনতা ঘোষণার ১৬ তম বার্ষিকীর ” সম্মানে” দেশটির তৎকালীন প্রেসিডেন্ট ভিক্টর ইউশচেষ্কোকে একটি অভিনন্দন বার্তা পাঠিয়ে ছিলেন।এর পর পেরিয়ে গেছে বহু বছর। ২০১৪ সালে ইউক্রেনের কাছ থেকে ক্রিমিয়াকে রাশিয়ার সঙ্গে একীভূত করার পর থেকে দুই দেশের শত্রুতা যেন প্রকাশ্য বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে কিন্তু ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির কখনোই সুসম্পর্ক ছিল না।প্রকাশ্য শত্রু কারাবন্দী রুশ নেতা অলেক্সি নাভালনির মতো জেলেনস্কির নামও কখনো সরাসরি উচ্চারণ করেন না পুতিন। জেলেনস্কির প্রসঙ্গ এলে তিনি তাকে ইহুদি প্রেসিডেন্ট, কিয়েভের প্রধান কিংবা মাদক আসক্ত এবং নব্য- নাৎসিদের প্রধান বলে উল্লেখ করেন। পুতিনের সঙ্গে জেলেনস্কির এই বৈরিতা শুরু ২০১৯ সালে জেলেনস্কির প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব গ্রহনের পরই। নবীন- প্রবীন এই দুই নেতা সেবারই মুখোমুখি হয়েছিলেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাক্রোর আমন্ত্রণে প্যারিসে। এর পর তাদের মধ্যে আর সামনাসামনি দেখা না হলেও শত্রুতা চলছেই।