পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, “আগের শাসকরা নিজেদের স্বার্থে পুলিশকে ব্যবহার করেছে। পুলিশকে জনগণের বন্ধু হিসেবে প্রমাণ করা সম্ভব হয়নি।” আজ রোববার (১ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে এক ব্রিফিংয়ে তিনি এ মন্তব্য করেন।
রিজওয়ানা হাসান বলেন, “পুলিশ কমিশন গঠনের পরিকল্পনা করা হচ্ছে, এবং জাতিসংঘের প্রতিনিধি দল যে সংস্কারের সুপারিশ করবে, তা গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করা হবে।”
সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশিত পুলিশের ভিডিও সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, “জাতিসংঘের ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং মিশন যেসব সুপারিশ করবে, তার মধ্যে সিকিউরিটি রিফর্মের প্রস্তাবও থাকবে। এসব উদ্যোগের মূল লক্ষ্য হলো, অতীতে যা ঘটেছে, তা আর কখনো যাতে না ঘটে।”
তিনি আরও বলেন, “আমরা ছোটবেলায় শিখেছিলাম দুষ্ট লোকেরা পুলিশকে ভয় পায়, কিন্তু এখন এমন একটি সমাজে বাস করছি, যেখানে ভালো লোকেরাও পুলিশকে ভয় পায়। পুলিশ যে মানুষের বন্ধু—এটা এখনো প্রমাণ করা সম্ভব হয়নি। বরং পুলিশ বিভিন্ন সময়ে রাজনৈতিক দলগুলোর স্বার্থে ব্যবহৃত হয়েছে। তবে পুলিশ বাহিনীর ভেতরেও পরিবর্তনের একটা চাপ রয়েছে। তারা এখন বুঝতে পারছে যে জনগণের কাছে গ্রহণযোগ্য হতে হলে তাদের অনেক কাজ করতে হবে।”
উপদেষ্টা আরও উল্লেখ করেন, “আমরা এখনো ১৮৬১ সালের ব্রিটিশ আমলের পুলিশ আইন দিয়ে স্বাধীন বাংলাদেশের পুলিশ পরিচালনা করছি। ব্রিটিশরা কি জনমুখী পুলিশ দিতে এসেছিল? তা তো তারা আসেনি। এখন, পুলিশ কমিশন গঠনের পর এবং জাতিসংঘের প্রস্তাবগুলো পাওয়ার পর, আমরা আলোচনা করে জনমুখী পুলিশ গড়ার দিকে এগিয়ে যাব।”